কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হওয়ার পর শুরু হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একরামুলের এই মৃত্যু নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বলেন, ‘একরাম মারা যাওয়ার পর আমরা যখন হসপাতালে তার লাশ আনতে গেলাম তখন সেখানে র্যাব-৭-এর গাড়ি দেখে তাদের বললাম, আপনারা কেন আমার স্বামীকে খুন করছেন? তখন ওনারা বলেছেন, ওপর থেকে অর্ডার এসেছে। আল্লাহর কাছে বিচার দেন। আমরা কাজ করার মানুষ। আমরা শুধু অর্ডার পালন করছি।’
শুক্রবার বিবিসিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেছেন, র্যাব ও একটি সংস্থার লোকেরা তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছেন।
এদিকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একরামুল নিহত হওয়ার আগ মুহূর্তের কথোপকথন ও ওই সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে একটি অডিও টেপ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, অডিও টেপটি তাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।
একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, ‘একরামুল হক ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
মাদকবিরোধী অভিযানে গত ২৬ মে দিবাগত রাতে টেকনাফে গুলিতে নিহত হন একরামুল হক। এ ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পরিবার দাবি করে আসছে, বিভিন্ন তালিকায় তার নাম থাকলেও একরামুল ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন না। একরামুলের স্ত্রী গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেও একই কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে একরামুল হকের সঙ্গে তার কথোপকথনের রেকর্ড সাংবাদিকদের শোনানো হয়। এতে গুলির শব্দ, লোকজনের চিৎকার ও বাঁশির আওয়াজ শোনা যায়।