গ্রামীণ মজার একটি কাহিনী নিয়ে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে ১০ পর্বের ঈদের ধারাবাহিক ‘নসু ভিলেনের সংসার’। এটি আগামী ঈদে এটিএন বাংলায় প্রচার হবে। বৃন্দাবন দাসের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সাগর জাহান। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল মনসুর, চঞ্চল চৌধুরী, আ.খ.ম.হাসান, আরফান আহমেদ, নাদিয়া নদী, তানজিকা আমিন ও শাহানাজ খুশি প্রমুখ। নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে, তিন ভাই নওশের আলী, সমশের আলী, জমশেদ আলী। গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা মারা যাবার পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিই তাদের একমাত্র আয়ের পথ। তিন ভাই-ই কম বেশি অলস কর্ম বিমুখ। বড় ভাই সমশের কানে কম শোনে-তাই তার কানে মেশিন লাগানো। কিন্তু ঠসা বললে ক্ষেপে যায়। মেজ ভাই জমশেদ চোখে কম দেখে-পাওয়ার ফুল চশমা পরে সবসময়। তাকে অবশ্য জমশেদ কানা বললে রাগ করে না। নসু শখের যাত্রা দলে ভিলেনের অভিনয় করে তাই এলাকায় তার পরিচিতি নসু ভিলেন নামে। স্বাভাবিক কথার মধ্যেও নিজের অজান্তেই ভিলেনের সংলাপের সুর চলে আসে। একারণে প্রেমিকা বধুও রাতে এক ঘরে তাকে ভয় পায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে কার বউ বেশি সুন্দরী এ নিয়ে প্রতিযোগিতা এবং কম বেশি বচসা ঝগড়া প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। পক্ষান্তরে বউদের মধ্যেও একই ধরনের দ্বন্দ্ব রয়েছে কোন ভাই সবচেয়ে সুদর্শন। বউয়ে বউয়েও এ নিয়ে ঝগড়া বাধে। এলাকার মানুষজন বেশ উপভোগ করে। নসু ভিলেন বড় ভাবীর সুন্দরী বোনকে বিয়ে করে আনার পর মধুচন্দ্রিমার কাটতে না কাটতেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। কখনো ভাইয়ে ভাইয়ে-কখনো বউদের মধ্যে। কখনো আবার দুই বোন এক হয়ে মেজ বউয়ের বিরুদ্ধে। এসব অশান্তিতে নসুও অতিষ্ট হয়ে ওঠে। ইদানিং প্রায়ই তাই বউয়ের সাথে ঝামেলা ঠোকাঠুকি বেঁধে যায়। স্ত্রী তাকে বাবার বন্দুকের ভয় দেখায়। নসু ভিলের হাসি দিয়ে বলে তোকে মারতে আমার বন্দুক লাগবে না। তার এই ভিলেনী সংলাপই কাল হয়-রাগে ভয়ে ঘর ছেড়ে চলে যায় স্ত্রী। শুরু হয় নতুন জটিলতা। নাটকটিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘নাটকটির গল্প অনেক মজার। সংলাপগুলো মজবুত। বৃন্দাবন দাসের রচনায় আমি অনেক কাজ করেছি। এই নাটকের হাসির সংলাপের মাধ্যমে সমাজ সচেতনতামূলক অনেক মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নাট্যকার। আমি কাজটি দারুণ উপভোগ করেছি।’ নাটকটি ঈদের দিন থেকে ১০ম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে।