বলিউডের প্রথম সারির স্টার কিড তৈমুর আলি খান। পাপারাৎজিদেরও সে বেশ পছন্দের। কিন্তু তৈমুরের এত জনপ্রিয়তা চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে কারিনা-সাইফের। এর আগে তৈমুরের জনপ্রিয়তা নিয়ে এতটা চিন্তিত ছিলেন না কারিনা।
সম্প্রতি, মুক্তি পেয়েছে কারিনা কাপুরের কামব্যাক ফিল্ম ‘ভিরে দি ওয়েডিং’। সিনেমার প্রমোশনে গিয়েও উঠে এসেছে আদরের ছেলে তৈমুর আলি খানের কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তৈমুর প্রসঙ্গে কারিনা জানান তিনি সন্তানের জনপ্রিয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।
কারিনা জানান, ‘তৈমুর যেখানে যায়, সেখানেই পাপারাজ্জিরা গিয়ে হাজির হয়ে যায়। আমি আর সাইফ প্রতি মুহূর্তে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা একেবারেই এটা পছন্দ করি না। ও যেখানেই যায়, পাপারাজ্জিরা ওর পিছু নেয়। এমনকি ও প্লে স্কুলে গেলে সেখানেও পাপারাজ্জিরা পৌঁছে যায়। ওর বয়স মাত্র ১৮ মাস। ক্যামেরা পার্সনরা যখন ওর নাম ধরে ডাকে ও তাদের দিকে তাকায়। আমরা ওর সামনে সব বিষয় স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করি। ও যখন বড় হবে আমরা ওকে বুঝিয়া বলব, কিন্তু জানি না এসব কীভাবে সামলাব। সমস্যাটা এখানে যে আমি তো আর আমার বাচ্চাকে ঘরে আটকে রাখতে পারি না। আমি কখনো চাই না তৈমুরের সামনে পিছনে ৫ জন দেহরক্ষী থাকুক। আমি চাই আর ৫ জন শিশুর মতই তৈমুর স্বাভাবিক জীবন পাক। কিন্তু আমরা তো আর কাউকে আটকে রাখতে পারি না। তাই এটা নিয়ে সাইফ ও আমি দুজনেই খুবই চিন্তিত।’
পাশাপাশি কারিনা জানান, ‘তিনি ভীষণই ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে একটা গণ্ডি রাখতে চান। তৈমুরের ক্ষেত্রেও তারা দুজনেই দেখাশোনা করেন। আমি কাজে গেলে সাইফ তৈমুরকে দেখে, আবার সাইফ যখন কাজের জন্য বাইরে যায় তখন আমি তৈমুরের দেখাশোনা করি।’
যদিও এর আগে সংবাদমাধ্যমে কারিনা এবং সাইফ জানিয়েছিলেন, তৈমুর স্টার কিড। ফলে ও কোথাও গেলে অনেকে ঘিরে ধরবে এটাই স্বাভাবিক। সেই অভ্যাস ছোট থেকেই থাকা উচিত।’