কক্সবাজার-কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই জনের মৃত্যু

কক্সবাজারে কথিত দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক এবং কুমিল্লায় মাদকবিরোধী অভিযানে আরেকজন নিহত হয়েছেন। কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শাহাজাহান (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মধ্য বানিয়ারছড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক একই এলাকার মৃত ফরিদুল আলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় ৭ টি মামলা রয়েছে।চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুই বাহিনীর গোলাগুলিতে শাহাজাহান নিহত। তবে ওই দুটি বাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাদ্দাম হোসেন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. আবুল ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাত সোয়া ২টার দিকে কড়ইবন এলাকায় মাদক উদ্ধারে অভিযানে গেলে সাদ্দাম মারা যান। “উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগীরা কড়ইবন দিয়ে মাদক পাচারকালে পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা চালায়। মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি করে। পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা ১৪ রাউন্ড গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গুলিবিনিময়ে মাদক কারবারি সাদ্দাম গুরুতর আহত হয়।” গুলিবিদ্ধ সাদ্দামকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

‘গোলাগুলিতে’ ওসি ফয়সাল ছাড়াও অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত এসপি মো. সাইফুল ইসলাম, এএসআই সারোয়ার ও কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন আহত হন বলে পুলিশের ভাষ্য। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল, তিনটি কার্তুজ ও একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে অভিযানে মৃত্যুর ক্ষেত্রে অধিকাংশ ঘটনার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, মাদককারবারিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে গুলি করায় পাল্টা গুলি চালাচ্ছে পুলিশ বা র‌্যাব, তাতে ঘটছে মৃত্যু। কয়েকটি ক্ষেত্রে গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়ার কথা জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের মৃত্যু হয়েছে মাদক চোরাকারবারিদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে। তাদের ওই বক্তব্য ও ঘটনার বিবরণ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রশ্ন তোলার মধ্যেও অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে তার মধ্যে বড় দাগ হয়ে দেখা দিয়েছে টেকনাফে ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হকের মৃত্যু। তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি তার প্রমাণ হিসেবে একটি অডিও টেপও তুলে ধরা হয়েছে।