ইথোপেনে পাকানো আম খাওয়া যায়, কার্বাইডে নয়!

চলছে আমের মৌসুম। তারওপর রমজান মাস। এমনিতেই আম বাংলাদেশিদের জন্য ফলের রাজা। রোজা হওয়ায় সেটার চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। আর এই সুযোগে সময় হওয়ার আগেই অনেকেই বাজারজাত করছেন মধুমাখা ফলটি। এক্ষেত্রে অভিযোগ, পরিপক্ক হওয়ার আগেই রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অপরিপক্ক আম ধ্বংস করায় জনমনে শঙ্কা জেগেছে, কী করবেন তারা। খাবেন কি, খাবেন না- এমন যখন প্রশ্ন, তখন নতুন আলোচনা জন্ম দিয়েছে ‘বিজ্ঞজনরা’। গণমাধ্যমে তাদের মতামত নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হচ্ছে রীতিমত। বলা হচ্ছে, ইথোপেন-কার্বাইড স্বাস্থ্যহানিকর নয়। কিংবা ক্ষতিকর নয়। যে ফলগুলো নষ্ট করা হয়েছে, তা অপরিপক্ক। আর অপরিপক্ক আম ইথোপেন কিংবা কার্বাইড দিয়ে পাকানো হলে তাতে ক্ষতির কিছু নেই।

এই অবস্থায় আম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন কথা। তাদের মতে, এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই মতামতই গণমাধ্যমে এলে ভাল হয়। কেননা, অনেক তথ্য বিভ্রাটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ আম খাবেন কি, খাবেন না এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েছেন।

নানা আলোচনার মাঝে সাধারণ মানুষকে এই অবস্থায় করণীয় বাতলে দিলেন আমের দেশ রাজশাহীর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো হামিম রেজা। তিনি বলছেন, ইথোপেন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি ফল পাকানোর রাসায়নিক দ্রব্য। এটি দিয়ে আম বা কলা পাকালে কোনো ক্ষতি নেই। কেননা, ইথোপেন প্রয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বায়বীয় আকারে উড়ে যায়। আর যদিও কিছুটা থাকে, তা মানবদেহের সহনীয় মাত্রার মধ্যে। কিন্তু ক্যালসিয়াম কার্বাইড মোটেই ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, এই রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে ১০ শতাংশ আর্সেনিক থাকে। যা সরাসরি ক্ষতি করে।

তিনি বলেন, একটি বড় পত্রিকায় খবর দেখলাম ঢাকায় বিশেষজ্ঞা বলেছেন-‘ইথোপেন, কার্বাইড দিয়ে ফল পাকানো ক্ষতিকর নয়’। এটা কিন্তু ভুল তথ্য। খবরটা হওয়া উচিত ছিল-ইথোপেন।