‘মুক্তিপণ দিয়েই ফিরেছেন টেকনাফের ৮ অপহৃত’

কক্সবাজার টেকনাফে দুর্বৃত্তদলের হাতে অপহৃত শিক্ষার্থীসহ ৮জন বাড়ি ফিরেছেন। তাদেরকে মুক্তিপণের জন্য বেধড়ক মারধর করে প্রচুর জখম করেছে অপহরণকারী দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার গভীররাত দুইটার দিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন তারা। মারধরে আহত ভিকটিমদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সকালে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন স্বজনরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহারছড়া ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ রফিক। অপহৃত করিমুল্লাহ ও মোস্তফার বড়ভাই মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, মুক্তিপণ দিয়েই তারা ডাকাতদলের হাত থেকে ছাড়া পেয়েছে।

“তিনি বলেন, তারা (অপহৃত) ফিরে আসার পরপরই তাদের জিজ্ঞেস করেছি, তারা বলেছে, টাকা দিয়েই ফিরে এসেছে। তবে পুলিশ তাদের নিয়ে যাওয়াতে বিস্তারিত জানতে পারিনি।”

তবে অপহৃতদের অন্যান্য স্বজনরা মুক্তিপণের বিষয়টি স্বীকারে অনিচ্ছুক। তবে মুক্তিপণের জন্য টাকা জমা করার বিষয়টি তারাও জানিয়েছেন।

গেল রবিবার আছরের পর কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আবছারসহ আটজন বাহারছড়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের বাহনির ছরা এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে পাহাড়ি ছরাতে মাছ ধরতে যায়। এ সময় তারা নুনা ছরা নামক স্থানে গিয়ে অপহরণ চক্রের কবলে আটকে যায়। পরে অপহরণকারীরা তাদের হাতে আটক মোহাম্মদ উল্লাহ’র ফোনের মাধ্যমে অপহৃতদের পরিবারে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করেন।

অবশেষ অপহরণ চত্রের কবল থেকে চারদিন পরে আহত অবস্থায় ফিরেছেন তাঁরা।

ফিরে আসা অপহৃতরা হলেন- বাহারছড়া ইউনিয়নের রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, তার ভাই করিম উল্লাহ, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রোস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আবছার ও নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ।

এদিকে অপহরণের পর থেকে পুলিশ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় জোরদার অভিযান চালিয়েছেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,পুলিশ সাড়া অভিযান পরিচালনা করেছে ,পুলিশের সাড়াশি অভিযানের ফলে ডাকাতরা পাহাড়ে একপ্রকার আতংকিত হওয়ায় দ্রুত ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তবুও মুক্তিপণ না দিয়ে ছাড়া পাননি। তবে বড়ধরনের হতাহত থেকে বেঁচে ফিরেছেন অপহৃতরা। এতেই এলাকাবাসী ও স্বজনরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ইন্সপেক্টর ( ওসি তদন্ত) নাছির উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে, এখনো কিছু বলা যাবে না, এখনো তারা বাহিরে আছে।