আগামীকাল ২৫ জুন খুলে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার। মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় জনসভার মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। স্বপ্নের সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেয়ার অপেক্ষা শেষ হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। যোগাযোগ ব্যবস্থার মাইলফলক এই সেতুকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরে ব্যবসা-বাণিজ্যে আসবে আমূল পরিবর্তন, দেখা হচ্ছে নতুন নতুন স্বপ্ন।
পদ্মা সেতু ঘিরে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সরাসরি পণ্য আনা-নেয়া করতে পারায় একদিকে বাঁচবে সময়, অন্যদিকে কমবে পরিবহন খরচ আর ভোগান্তি। এতে আশার আলো দেখছেন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ীরা। নতুনভাবে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনাও হচ্ছে। এতে দূর হবে ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা। বণিক সমিতির নেতারা জানান, পদ্মা সেতুর কারণে অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হবে মাদারীপুর জেলা।
মাদারীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুষার ভূঁইয়া বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিকে ত্বরান্বিত করবে। মাদারীপুর জেলাটা হবে একটা ইকোনমিক জোন। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মাদারীপুরের সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হবে।’
সরকারের রাজস্ব বাড়াতে এই সেতু বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি বাবুল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে বিনিয়োগ বাড়বে আর বিনিয়োগের কারণে সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়বে। হাইওয়ে এক্সপ্রেস হয়ে মাদারীপুর থেকে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব ১০৫ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।