সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের ‘এক জীবনের সমান’ ক্ষতিপূরণ দাবি

সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। একই সঙ্গে হতাহতদের উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার, যথাযথ তদন্ত ও দায়ীদের বিচার এবং এক জীবনের সমান ক্ষতিপূরণ দাবি করছে সংগঠনটি।

রোববার (৫ জুন) সংবাদ মাধ্যমে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বিএম কনটেইনার ডিপোয় বিস্ফোরণে হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে সহজেই অনুমেয় যে এখানে কনটেইনারে উচ্চমাত্রার কেমিক্যাল ছিল। এমন সংবেদনশীল স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির কারণেই এ দুর্ঘটনায় এত প্রাণের ক্ষয় ঘটেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবহেলার জন্য দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সেখানে আরও বলা হয়, বিস্ফোরণে হতাহতদের সহযোগিতা ও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন গণসংহতি আন্দোলন, চট্টগ্রাম জেলার নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, আহত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচানোর জন্য রক্তসহ আনুষঙ্গিক সহযোগিতার প্রয়োজন। স্থানীয় মানুষজন সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। আর একজনের মৃত্যুও যাতে আমাদের না দেখতে হয়। গণসংহতি আন্দোলন এ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে রয়েছে। সংগঠনের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারকে আহত মানুষদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পূর্ণ দায়-দায়িত্ব এবং নিহতদের পরিবারপ্রতি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আরেক বিবৃতিতে মিরপুরে গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলন বলে, এ সরকার দেশে ভয়াবহ লুটপাট ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষা এবং সামর্থ্য এদের নেই; এখানে সরকার ও সিন্ডিকেট কার্যত একসূত্রে গাথা। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষদের অধাবেলা খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন। মধ্যরাতের ভোটডাকাত এ সরকার জনগণের তোয়াক্কা করে না, ভোটের তোয়াক্কা করে না। এজন্য সরকারের কোনোকিছুতেই কোনোকিছু যায় আসে না। সরকার-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলন দমনে ব্যবহার করছে। শ্রমিক আন্দোলনে হামলার জন্য দায়ী পুলিশের বিচার করতে হবে।

সেখানে আরও বলা হয়, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করতে হবে। নতুবা এ গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে বিদায়ের সংগ্রাম আরও বেগবান করতে হবে।