সয়াবিন তেল লিটারে বাড়ল ২০ টাকা

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে বেশ কিছু দিন আগে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করেছে। পরর্বতী সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সবশেষ ঈদকে সামনে রেখে আবারও তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সয়াবিনসহ সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে সয়াবিন তেলের ১ লিটারের বোতল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ চাহিদার অনুযায়ী ভোজ্য তেলের অর্ডার করলে কোম্পানিকে দিচ্ছি তার চার ভাগে এক ভাগ। শেকেরটেকের একটি ডিপাটমেন্টাল স্টোরের ম্যানেজার রফিকুল বলেন, সপ্তাহে ২০০ লিটার ভোজ্য তেলের অর্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু কোম্পানি থেকে তাকে দেওয়া হয়ে ৪৮ লিটার। অথচ তার এক দিনেই বিক্রি হয় ৫০ লিটার। তাই আপাতত তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তিনি।

ক্রেতাদের অভিযোগ প্রতি লিটারের তেলের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি রাখতেছে। তেল কিনতে আসা মনিরুল ইসলাম বররেন, কয়েকটা দোকান ঘুরে এক লিটার সয়াবিন তেল পেয়েছি। তাও পাঁচ লিটারের বোতল ভেঙে দিয়েছে। দাম রেখেছে ১৯০ টাকা। বেশি নিতে চাইলে দেওয়া হচ্ছে না।

একই অভিযোগ মহখালীর মামুনুর রশিদের । তিনি জানান, ২ লিটার একটা বোতলের জন্য অন্তত দশ দোকান ঘুরতে হয়েছে। তবুও কোনো দোকানে তেল পাননি। খোলা তেলও গায়েব হয়ে গেছে বাজার থেকে। তবে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রপ্তানি নিষিদ্ধ রয়েছে। তা ছাড়া ঈদের পর দাম বাড়ানোর একটা সিদ্ধান্ত হবে। তাই বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। কারওয়ান বাজারে এক পাইকারি বিক্রেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী সব কোম্পানি ভোজ্য তেলের সাপ্লাই কমিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের রিফাইনারিগুলোতে (শোধনাগার) পর্যাপ্ত তেল মজুদ থাকা সত্ত্বেও তারা বাজারে তা সরবরাহ করছে না। ফলে বাজারে তেলের সংকট তৈরি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম সাড়ে ৩ মাসে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টন পাম অয়েল ও ৪ লাখ টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৪ লাখ টন ভোজ্য তেলের মজুদ আছ। ফলে কোম্পানিগুলোর কাছে যে পরিমাণ তেল আছে, তা দিয়ে আরও দুই মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব।