পাগলা মসজিদের ৮ সিন্দুকে ১৫ বস্তা টাকা

মহাবীর ঈসা খানের অধস্তন পুরুষ দেওয়ান জিলকদর খানের স্মৃতি বিজড়িত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক চার মাস ছয় দিন পর খোলা হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। আটটি দান সিন্দুক খোলার কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা। সকাল ১০টায় আটটি দান সিন্দুক খোলার পর মোট ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু এবার চার মাস ছয় দিন পর দান সিন্দুক খোলা হলো।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর দিনভর চলে টাকা গণনার কাজ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গণনা শেষ না হওয়ায় টাকার পরিমান জানা যায়নি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ও সুশান্ত সিংহ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়। কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে দান করে আসছেন।

গত ৬ নভেম্বর যখন সর্বশেষ পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা করা হয়েছিল তখন সেখানে তিন কোটি সাত লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।