করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবেলায় সারাদেশে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করছে সরকার। মোট ১১ টি বিষয়র উপর এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিধিনিষেধগুলোর মধ্যে রয়েছে, উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সভা সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে, হোটেল-রেস্তোরায় করোনার সনদ দেখাতে হবে, জনসম্মুখে সকলকে মাস্ক পরিধান করে চলাফেরা করতে হবে, গণপরিবহনে চালক-সহকারির টিকা সনদ থাকতে হবে, ১২ বছরের উর্ধে শিক্ষার্থীদের টিকার সনদ ছাড়া স্কুলে যেতে দেওয়া হবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শান্তির সম্মুখীন হতে হবে। অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।