শাহজালালে জব্দ করা ১৮ গরুর মালিক সাদিক এগ্রো

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। গরুগুলো আমদানি করেছে সাদিক এগ্রো নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সোমবার দুপুরে জব্দ হওয়া গরুগুলো টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসে।

এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরুর আমদানিকারককে না পাওয়ায় এগুলো জব্দ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বিল অব এন্ট্রিতে সবগুলো গরুর মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ডলার। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা ধারণা করছেন গরুগুলোর প্রতিটির মূল্য ১২-১৫ লাখ টাকারও বেশি।

কাস্টমস সুত্রে জানা গেছে, ১৩ মাস থেকে ৬০ মাস বয়সী এই গরুগুলোর আমদানিকারকের জায়গায় মোহাম্মদপুরের ‘সাদেক এগ্রো’র নাম লেখা রয়েছে। তবে শাহজালাল বিমানবন্দরে গরুগুলো পৌঁছুলে সেগুলো কেউ নিতে আসেননি।

আমদানিকৃত পণ্য বা মালামাল সাধারণ বিমানবন্দরের ওয়ারহাউজে রাখা হবে। তবে কোনো প্রাণী সেখানে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় গরুগুলোকে সাময়িকভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আবদুস সাদেক বলেন, গরুগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হলেও বিমানবন্দরে কেউ নিতে আসেনি। বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ রয়েছে। এ কারণে গুরুগুলো জব্দ করা হয়েছে। আমাদের হেফাজতে গরু রাখার ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জিম্মায় দেয়া হচ্ছে। গরুগুলোর কোনো দাবিদার না পাওয়া গেলে নিলামে বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির কথা স্বীকার করে ‘সাদিক এগ্রো লিমিটেড’র মালিক ইমরান হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, গরুগুলো সাদিক এগ্রো আমদানি করেছে। একটি কাগজ জটিলতায় গরুগুলো আটকে আছে। কাগজটি জমা দিলেই গরুগুলো কাস্টমস আমাদের বুঝিয়ে দেবে।

কাস্টমস বলছে, ব্রাহমা জাতের গরু দেশে আমদানির বৈধতা নেই এবং আপনাদের পক্ষ থেকে গরু আনতে না যাওয়ার কারণ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, এটা ভুল তথ্য। গরু দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চারজন লোক গিয়েছে। তাদের জায়গায় বসে আমাদের লোক গরুকে খাবার খাওয়াচ্ছে। গরুগুলো এখন সাভার ডেইরিতে আছে। সেখানে আমাদের লোকজন আছে।

আর যদি দেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির বৈধতা না থাকে, তাহলে সরকার খামারিদের এজাতের গরু আমদানিতে উৎসাহ দিচ্ছে কোন? আমার জানা নেই তারা এ কথা কেন বলছে। ভারত, মিয়ানমার থেকে যেসব গরু আসছে সেগুলোর জাত সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।

এদিকে, আমদানি করা গরুগুলো যে ব্রাহমা জাতের তা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিমানবন্দরে এসে নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র : ঢাকাটাইমস