দোয়া কবুলের সেরা ৫ সময়

ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের শান্তি, স্থিতি, সাফল্য ও মুক্তি নির্ভর করে আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের ওপর, যা প্রত্যেক মুমিন মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে। আর সেজন্য একজন মুমিনের ইবাদত ও আরাধনার উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, দয়া ও অনুগ্রহ লাভ করা। আর হাদিসে এমন কিছু সময়ে দোয়ার কথা বলা হয়েছে, যখন দোয়া করলে করুণাময় আল্লাহ তাআলা নিশ্চিতভাবে বান্দার দোয়া কবুল করেন।

৥ রাতের শেষ প্রহরে দোয়া: আমাদের প্রিয় রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক দিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের রব সবচেয়ে নীচের (প্রথম) আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছো? আমাকে ডাকো; আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আছে? আমার কাছে চাও; আমি তোমাকে দান করবো। কে আছো? আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী; আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বুখারি)

৥ রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দোয়া: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না। যখন রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করে। ন্যায় পরায়ণ শাসক। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)

৥ জুমআর দিনের দোয়া: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমআর দিনে একটি সময় আছে যে সময়টা কোনো মুমিন নামাজ পড়া অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ অবশ্যই সে চাহিদা পুরণ করবেন। এবং তিনি তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে সে সময়ের সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)

৥ ফরজ নামাজের পরের দোয়া: হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘রাতের শেষ সময় এবং ফরজ নামাজের পরে দোয়া কবুল হয়।’ (মুসলিম)

৥ বৃষ্টি হওয়ার সময়ের দোয়া: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরানো হয় না। আজানের সময়ের দোয়া আর বৃষ্টি বর্ষণের সময়ের দোয়া।’ (আবু দাউদ)