নাসার মনুষ্যবিহীন রোবোটিক যান পার্সিভিয়ারেন্স বৃহস্পতিবার রাত ৩ টা বেজে ৪৮ মিনিটে মঙ্গল গ্রহে সাফল্যের সঙ্গে অবতরণ করেছে। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তার অনুসন্ধান চালাবে নাসার পার্সিভিয়ারেন্স।
মঙ্গলের আকাশে ওড়াবে হেলিকপ্টার। মঙ্গল থেকে আসা প্রথম ছবি নাসা রিলিজ করেছে। ৭ মাস মহাকাশে ওড়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ৩ টা ৪৮ মিনিটে পার্সিভিয়ারেন্স যখন মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করল তখন কন্ট্রোল রুমে নাসার অন্য বিজ্ঞানিদের সঙ্গে চকচক করে উঠেছিল দুই বঙ্গতনয়ের মুখ।
মহিষাদলের অনুভব দত্ত এবং বর্ধমানের সৌম্য দত্ত। এই দুই ভারতীয় প্রযুক্তিবিদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে নাসার মঙ্গল অভিযানে। অনুভব হেলিকপ্টার প্রকল্পের অংশীদার। বহুবছর ধরে স্বপ্ন দেখছেন মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার ওড়াবার।
আর সৌম্য বানিয়েছেন ১৫ জন মানুষ মাথার ওপর পরপর দাঁড়ালে যা উচ্চতা হয় সেই উচ্চতার প্যারাশুট -ইনজেনিনিতো। দুজনের স্বপ্ন সফল হওয়ার আনন্দে চোখে পানি চলে আসে। অনুভব ৬ বছর বয়েস থেকে আমেরিকায় আছে।
সৌম্য কলকাতার সাউথ পয়েন্টের ছাত্র ছিল। ১৯৮৪ সালে উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ স্থান পায়। আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছে।
তার গবেষণা তাঁকে নাসার মঙ্গল অভিযানে সম্পৃক্ত করেছে। দুজনেই আপ্লুত মঙ্গল সাফল্যে। দুজনেই মনে করছেন, এই মঙ্গল অভিযান নতুন দিগন্তের দ্বার খুলে দেবে।