সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক কিছু ঘটবে, ইঙ্গিত কাদেরের

দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। কী হয়, কী হবে, নানা অনিশ্চয়তা। তারপরও চলছে নানা হিসাব-নিকাশ আর জল্পনাকল্পনা। এদিকে ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জেএসডি প্রধান আ স ম আব্দুর রব এর সঙ্গে আলোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তবে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

নির্বাচনী সরকারের জোটে যারা আছে তাদের রাখা হবে কিনা জানতে চাইলে এ ওবায়দুল কাদের বলেন সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক কিছু ঘটবে।

নির্বাচনী জোট সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, অলি আহমদ, আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষেই ধাকবেন। তবে, তারা জোটে আসবেন কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। সিপিবির সঙ্গেও কথা হয়েছে, তারা ৮ দলীয় জোট করছে। জোটগতভাবেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। তারা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সাথে জোটে অংশ নেবে না বলেও জানান কাদের।

সিপিবি, অলি আহমদ বা আ স ম আব্দুর রবকে আপনারা চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তারা আমাদের (আওয়ামী লীগকে) চায় কিনা সেটি দেখার বিষয়। তাদের নিয়ে কোনো মেরুকরণ হলে তা গোপনীয় থাকবে না বলেও মনে করেন কাদের।

ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যের প্রসেঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটি তার দলীয় সিদ্ধান্ত। তার নেতৃত্বে তৃতীয় জোট হতেই পারে। তারা যদি জনগণের সমর্থন আনতে পারে তা অবশ্যই ভাল। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো ভিন্ন মতামত নেই।

বিএনপি নেতারা একাধিকবার সংলাপের কথা বলছেন, এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংলাপ করার সময় নেই। সুযোগও নেই। টেলিফোনে যোগাযোগ থাকা ভালো। তবে, শর্ত দিয়ে টেলিফোনে কোনো কথা হবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সেক্রেটারি সেক্রেটারি কথা বলব, এটা প্রটোকলে পড়ে। এখানে শর্ত জুড়ে দিলে টেলিফোন আলাপ বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের আলোচনার দার খোলা আছে, বন্ধ হয়নি। বিএনপির আলোচনায় অসুবিধা আছে। এ প্রসঙ্গে দলের মধ্যেই একে অপরকে দালাল বলছে। ফলে তাদের কথা বলতে তো একটু অসুবিধা তো হবেই। আলোচনা করতে করতেই বরফ গলে যায়। সে কথাটি তাদের ভাবা উচিত।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং তা নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে। এ নিয়ে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।

জাতীয় পাটি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পাটি এখন যেমন আছে তেমনি নির্বাচনের সময়ও মহাজোটেই থাকবে।

তিন সিটি নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হবে। কিন্তু বিএনপি যদি না জেতে তাহলে ভালো হবে না। আমি জানি না এই সংস্কৃতি থেকে তারা কবে বেরিয়ে আসবে।

জিতলে ভালো আর না জিতলে নির্বাচন ভালো নয়- এই সংস্কৃতি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।