দর্শনার মোটর ম্যাকানিক কুড়ুলগাছির জাকিরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২১ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন: হাজার হাজার নারী পুরুষের ভীড়

আহাদ আলী ও রাশিদুল ইসলাম: গতকাল ২৬ জুলাই বেলা ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি আনন্দ বাজার পাড়ার লাল মোহাম্মদের পুত্র ও দর্শনার সকলের পরিচিত মুখ মোটর ম্যাকানিক মৃতঃ জাকির হোসেনের (৩৮) লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২১ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোঃ ফকরুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ ইউনুচ আলী, কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্পের টু আইসি এএসআই আবুল কাশেম, এএসআই শাহাজালাল সহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকার্তা স্থানীয় মেম্বার আব্দুল কাদের, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি এবং এলাকার হাজার হাজার উৎসুক নারী-পুরুষ। মৃতঃ মোটর ম্যাকানিক জাকির হোসেনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই সকাল দিকে কুড়ুলগাছি পূর্ব পাড়ার লাল মোহাম্মদের বড় ছেলে জাকির হোসেন দর্শনার মোহাম্মদপুর ভাড়ার বাসায় গলাই দড়িদিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্ত্রী ও শাশুরি প্রচার করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কুড়ুলগাছি থেকে জাকিরের স্বজনরা ছুটে যায় জাকিরের শেষ বারের দেখার জন্য। কিন্তু জাকিরের মা-বাবা আত্মীয় স্বজন পৌঁছানোর আগেই জাকিরের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজনরা জাকিরের লাশ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার জাকিরের আগেই মৃত্যু হয়েছে জানান।

জাকিরের শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রথমে হাড এ্যাটাকটে জাকিরের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করলেও পরে গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করতে থাকলে জাকিরের নিকট আত্মীয়দের মাঝে সন্ধেহের সৃষ্টি হয়। তার পর বিভিন্ন নাটকের পর দামুড়হুদা মডেল থানায় ৬/৭/১৮ইং তারিখে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। যার নং ৪২/১৮। কিন্তু ছেলের আত্মহত্যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না জাকিরের পিতা লাল মোহাম্মদ। ছেলের মৃত্যু রহস্য নিয়ে বসে থাকলেন না। আদালতের সরানোপন্ন হলেন এবং ৯/৭/১৮ ইং তারিখে ৬ জনকে আসামীকরে একটি হত্যা মামলা করলেন। যার নং-১৭/১৮।
আসমীদের মধ্যে জাকিরের স্ত্রী ও শাশুরিকে পুলিশ আটক করেছে। এবং ৩ দিনের রিমান্ডে দুই জনকে ব্যপক জিঙ্গাসাবাদ করেছে পুলিশ।

এদিকে জাকিরের লাশ উত্তোলনের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে কুড়ুলগাছি হাসপাতাল পাড়া গোরস্থানের আশে পাশে হাজার হাজার উৎসুক নারী-পুরুষের ভীর ও স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভাড়ী হয়ে উঠে। কবর স্থানের আশেপাশে কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই আসাদের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার কারা হয়।

অপরদিকে মৃতঃ মোটর ম্যাকানিক জাকির হোসেনের লাশ ময়না তদন্ত শেষে রাত ৮-৩০ টার দিকে কুড়ুলগাছি কবরস্থানে ডিএসবির সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় জনসাধারনদের উপস্থিতিতে পূনঃ দাফন সম্পন্ন হয়।