শিগগিরই সুখবর পাচ্ছেন নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তথ্য হালনাগাদ করার উদ্দেশ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এন্ট্রি লেভেলে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) সংগ্রহ করা হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে। তাই ইআইআইএনসহ (EIIN) প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম ও মোবাইল নম্বর এনটিআরসিএ-র কাছে পাঠাতে হবে।

ওই তালিকা পাওয়ার পরই মূলত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার জারি করা হবে। সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ৩৮ হাজার বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানে গত দুই বছর ধরে (সহকারি শিক্ষক ও প্রভাষক) শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ আছে। মৃত্যু, পদত্যাগসহ নানা কারণে ওইসব প্রতিষ্ঠানে ৬০ হাজার শিক্ষকের পদ বর্তমানে খালি আছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সার্কুলার অনুযায়ী এসব পদ পূরণ হওয়ার কথা।

এ বিষয়ে গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী জানান, জটিলতায় পড়ে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছিল না। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে। সর্বশেষ ও প্রথমবারের মতো ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর এখন পর্যন্ত আর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, নতুন এমপিওভুক্তির বন্ধ খুলবে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে গত ৮ বছর ধরে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে পারিনি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থপ্রাপ্তির আশ্বাস পাওয়া গেছে।

এ বছর নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল যোগ্য প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষ শিক্ষকরাই এমপিওর জন্য বিবেচিত হবেন। নীতিমালার আলোকেই প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হবে। মেধাতালিকার বাইরে অন্য কোনো তালিকা থেকে এমপিও দেয়া হবে না। কেননা, এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে আমরা একটা স্থায়ী সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

এনটিআরসিএর সদস্য মো. হুমায়ন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, শূন্য আসনে তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তালিকা পেলেই নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হবে। এরপরই ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হতে পারে।