সুখবর পেলেন বেগম জিয়া

দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া।অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলেও এখনো ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি। অন্যান্য ,মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে রাখা হচ্ছে।মুক্তি পাচ্ছেন না এ নেএী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন হাইকোর্ট।তার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে খালেদা জিয়া হাইকোর্ট থেকে গত ১২ মার্চ চার মাসের জামিন পেয়েছিলেন। এই জামিনের মেয়াদ গত ১২ জুলাই শেষ হয়। এর আগে খালেদা জিয়ার এই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রথমে ১৯ জুলাই এবং পরে ২৬ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ান।

এদিকে এ মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন একই বেঞ্চ। বুধবার নবম দিনের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১২ জুলাই থেকে আপিল শুনানি শুরু হয়।

বুধবার শুনানিতে দুদকের ৩১ নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি জেরা পড়ে শোনান খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, এম মাহবুবউদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান ও মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

এই মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পর খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চতর আদালত।

পরে খালেদা জিয়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল মামলার নিষ্পত্তিতে আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন।

ওই আবেদন মুলতবি রেখে আপিল বিভাগ বলেছেন, খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ না হলে সময়ের প্রার্থনা বিবেচনা করা হবে। সে পর্যন্ত আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছে।

এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুইজন হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

পলাতক তিনজন হলেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন।

২২ ফেব্রুয়ারি সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন। এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। এখন তিন আসামির আপিল ও দুদকের আবেদনের রুল এই আদালতে শুনানি হচ্ছে।

তবে তার আইন জীবীরা আসা করছেন খুব দ্রুত জামিন পাবেন এবং খালেদা জিয় মুক্তি পাবেন।