সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী এই সংগঠন ‘গ্রীন ক্যাম্পাস’ বর্ষাকে বরণ করে নিতে প্রতিবারের মতো এবারেও পালন করেছে ভিন্নধর্মী বর্ষাবরণ ও ফল উত্সব। সংগঠনটি পুরো অনুষ্ঠানের সবটা জুড়েই বর্ষার গানকে প্রাধান্য দিয়ে অনুষ্ঠান সাজানো হয় এবং ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে মৌসুমি ফল দিয়ে সাজিয়ে পুরো ক্যাম্পাসের সকলকে চমক দেয়। উন্মুক্ত স্থানকে মঞ্চে রূপ দিয়ে এবং গাছগুলোকে কৃত্রিমভাবে ফল দিয়ে সুসজ্জিত করে ব্যতিক্রমধর্মী এক নান্দনিকতার প্রমাণ দেয়।
সকাল ১০টায় সবুজ রং-এ নিজেদের সাজিয়ে বর্ষা সঙ্গীত গেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি আনন্দর্যালি বের করে মেতে উঠেছিল বর্ষাবরণ ও ফল উত্সবে। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্যাওড়াতলাতে এসে শেষ করে। এরপর উপাচার্য গ্রীন ক্যাম্পাসের ইচ্ছাংকন ক্যানভাসে রং তুলির আঁচড়ে ছবি এঁকে এবং ফল খেয়ে বর্ষাবরণ ও ফল উত্সবের উদ্বোধন করেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার প্রধান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি তপন কুমার সরকার, সহকারী প্রক্টর আল জাবির, সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, গ্রীন ক্যাম্পাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার দেবনাথ, দীপংকর বৈরাগী, বর্তমান কমিটির সভাপতি পলাশ শেখ, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বাবু, গ্রীন ক্যাম্পাসের বিশেষ প্রধান উপদেষ্টা দ্রাবিড় সৈকতসহ সংগঠনটির সদস্যবৃন্দ।
এ ব্যাপারে সংগঠনটির বিশেষ প্রধান উপদেষ্টা দ্রাবিড় সৈকত বলেন, টেকসই উন্নয়নে গ্রীন ক্যাম্পাস বরাবরই নিজেদের উপস্থাপন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধনে ভূমিকা রাখছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে’। সবশেষ গ্রীন ক্যাম্পাসের সদস্য তাসনোভা শারমিন প্রমা ও সৈকত সাজিদের সঞ্চালনায় সংগঠনটির সদস্যগণ সাংস্কৃতিক পর্বে মনমুগ্ধকর সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি উপস্থাপন করেন।