সারাদেশে কয়েকমাস ধরে বেশ উত্তেজনা ভাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা ।জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিলেও সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন সমাধান হয়নি।গত কয়েক সপ্তাহ যাবত আবার সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ফের আন্দোলন চলে। গত ১জুলাই থেকে গ্রেফতার হন কোটা সংস্কারের তিন নেতা।তবে আজ আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্কার জানিয়ে দিলেন কোটা সংস্কারের বিষয়ে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকায় সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আরও প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আক্রমণ করেছে, তাদের তো ছাড়া হবে না। তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। তদন্ত করা হচ্ছে। অনেকে স্বীকারও করছে।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোটা নিয়ে আন্দোলন। এটা কী আন্দোলন নাকি। ছেলেপুলে আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করে গাড়িতে আগুন দিয়ে পোড়ানো, বাড়ি ভাঙচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত পৌঁছে ভাঙচুর করেছে। এটা কি কোনও শিক্ষার্থীর কাজ? কথায় কথায় বলে ক্লাস করবে না।
ক্লাসে তালা দেয়। আমরা সেশনজট দূর করেছি। এদের কারণে এখন আবারও সেই সেশনজট। ১৫ টাকা সিট ভাড়া আর ৩৮ টাকায় খাবার, কোথায় আছে পৃথিবীর। ১৫ টাকা সিট ভাড়া আর ৩৮ টাকায় খাবার খেয়ে তারা লাফালাফি করে। তাহলে সিট ভাড়া আর খাবারের বাজার দর যা রয়েছে, তাদের তা দিতে হবে। সেটা তারা দিক।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তারা হলের গেট ভেঙে ফেলে দেবে। মধ্যরাতে হল থেকে ছাত্রীরা বেরিয়ে যাবে। আমার টেনশনে আমি বাঁচি না। আমি পুলিশকে, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলেছি এই মেয়েদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। ভোর ছয়টা পর্যন্ত জেগে থেকে যার যার হলে পৌঁছে যাওয়ার পর আমি ঘুমাতে গিয়েছি।
তবে সর্বশেষ এ ঘোষনা আসলো সয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আন্দোলন, বিক্ষোভ কারী শিক্ষার্থীরা কতটা সন্তষ্ট হন সেটা দেখার বিষয় । এখন হয়তবা তাদের আন্দোলন, বিক্ষোভ নেই মাঠে ও শিক্ষার্থীদের এখন আর দেখা যাচ্ছে না।