নেত্রকোনায় যৌতুক-নির্যাতন মামলায় শিক্ষক কারাগারে

নেত্রকোনায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় ঝালকাঠি জেলার সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. মনিরুজ্জামানকে (৩৬) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রোকনুজ্জামানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মো. মনিরুজ্জামানের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার জুগাইরহাটি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা বাবুল হাওলাদারের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ অক্টোবর কলেজ শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কান্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আজিজের মেয়ে লাবণী আক্তারকে (২৩) বিয়ে করেন। বিয়ের পর মনিরুজ্জামান তার স্ত্রী লাবণীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় ওই শিক্ষক স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় গত বছরের ২০১৭ সালের ৪ জুন লাবণী আক্তার বাদী হয়ে নেত্রকোনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১১ এর গ ধারায় মনিরুজ্জামানকে আসামি করে যৌতুক মামলা করেন। ওই মামলায় মনিরুজ্জামান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন নিয়ে আসেন। গত মঙ্গলবার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। পর দিন গত বুধবার ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে গত রবিবার (৮/৭/১৮) তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক তা নামঞ্জুর করে শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নেত্রকোনা কোর্ট পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’