বাংলাদেশি যুবক শাহিবুল খান ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সুন্দরী তরুণীর ছবি দেখে আলাপ, পরে প্রেম নিবেদন।প্রেম মানে না কোনো বাধা, এটা আরো এক বার প্রমাণিত হলো। কেননা, জীবনের মায়া ত্যাগ করে, দেশ ছেড়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে প্রেমের টানে ভারতে পাড়ি জমান বাংলাদেশি এক যুবক। কিন্তু, তার পরে যা ঘটল তা খুবই ভয়ঙ্কর।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া সুন্দরী তরুণীর ছবি দেখে আলাপ, পরে প্রেম নিবেদন। এরপর ওই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে অবৈধভাবে সীমান্ত পারি দিয়ে ভারতে প্রবেশ বাংলাদেশি যুবকের।
এরপর অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ওই বাংলাদেশি প্রেমিক।জানা গেছে, ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়ানাদ জেলার মেপ্পাদির এক নারী তার ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের ছবির পরিবর্তে মালয়ালাম অভিনেত্রী কাব্য মাধবনের ছবি ব্যবহার করেন। ফেসবুকে সেই অভিনেত্রীর ছবি দেখেই ওই তরুণীর (নারী) প্রেমে পড়েন বাংলাদেশি যুবক শাহিবুল খান। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে ওই তরুণীকে সরাসরি দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন প্রেমিক সাহিবুল। প্রেমিকা ওই তরুণীও তাতে সম্মতি জানায়। ওই তরুণী নিজের বাসার যাওয়ার পথ নির্দেশ জানিয়ে দেন বাংলাদেশি প্রেমিক সাহিবুলকে।
যে কথা সেই কাজ। প্রেমিকাকে মুখোমুখি দেখার জন্য ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন সাহিবুল। এরপর কেরালার মেপ্পাদি শহরে অবস্থিত ওই নারীর বাসাও খুঁজে পান সাহিবুল। প্রেমের টানে বাংলাদেশ দেশ থেকে ভারতে গেলেও প্রেমিকার কাছে প্রতারিত হন সাহিবুল। বাড়িতে ঢোকার সময়ই শাহিবুলকে প্রত্যাখান করেন ওই তরুণী। তখন শাহিবুলের আর বুঝতে বাকি নেই যে ফেসবুকে যার ছবি দেখে তিনি প্রেমে পড়েছিলেন ওই তরুণী তিনি নন। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা শাহিবুলকে ওই নারীর বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে দেন।
স্থানীয় পুলিশকেও এ খবর দেয়া হয়। পরে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে শাহিবুলকে আটক করে পুলিশ।শাস্তির মেয়াদ শেষে গত তিন মাস আগেই কারাগার থেকে ছাড়া পান শাহিবুল খান। তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর যাবতীয় প্রক্রিয়াও শেষ। কিন্তু পোস্টাল হরতালের কারণে শাহিবুলের দেশে ফেরার যাত্রা বাতিল হয়। এই অবস্থায় দূতাবাস থেকে শাহিবুল যাতে দ্রুত ছাড়পত্রের নথি পায় সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে মেপ্পাদি পুলিশের কর্মকর্তারা।
বর্তমানে মেপ্পাদি পুলিশ আবাসনেই রয়েছেন শাহিবুল। পুলিশের তরফ থেকেই তাকে খাওয়া সরবরাহ করা হচ্ছে।এ বিষয়ে মেপ্পাদি থানার সাব-ইন্সপেক্টর এস.জিতেশ জানান, দূতাবাস থেকে নথি এসে পৌঁছালেই শাহিদুলকে যত দ্রুত সম্ভব তার দেশে ফেরত পাঠানো হবে।