জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিলেও সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন সমাধান হয়নি। জুলাই মাসের শুরু থেকে আবার সারাদেশের বিভিন্ন ভার্সিটিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। যার ফলে সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল, সংরক্ষণ বা সংস্কারের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যর কমিটি গঠন করেছে সরকার।আগামী ১৫ কর্যিদিবসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলো গত ১জুলাই।
রোববার সচিবালয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির প্রথম বৈঠক শেষ হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলমের নেতৃত্বে এ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির মুখপাত্র ও যুগ্ন-সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, কোটা সংক্রান্ত যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেটির প্রথম মিটিং ছিল আজ। মিটিংয়ে মূলত এই কমিটির কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই কর্মপন্থার প্রথম ধাপ হচ্ছে, কোটা সংক্রান্ত দেশে-বিদেশে যে তথ্য রয়েছে বা আমাদের বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিশন বা কমিটির যে প্রতিবেদন রয়েছে তা যত দ্রুত সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই প্রতিবেদন বা তথ্য প্রাপ্তির পর কমিটি দ্বিতীয় মিটিংয়ে বসবে বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে আমাদের কর্মপরিধি দেয়া রয়েছে ১৫ দিন, আমরা তার মধ্যেই রয়েছি।
ওই প্রতিবেদনগুলো আসলে কাদের প্রতিবেদন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পত্রিকার প্রতিবেদন রয়েছে, পিএসসির প্রতিবেদন রয়েছে এবং বিভিন্ন সময় সাবেক যে মন্ত্রীপরিষদ সচিব ছিল তাদের প্রতিবেদনও রয়েছে।
তিনি বলেন, সেগুলো আমরা যত দ্রুত পারি সংগ্রহ করব। এগুলো নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে চেষ্টা করছি এগুলো সংগ্রহ করার। পরবর্তী মিটিং এগুলো সংগ্রহের ওপর নির্ভর করছে।
কমিটির মুখপাত্র ও যুগ্ন-সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এ বিষয়ে একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য, যাতে করে আন্দোলনকারী শিক্ষাথীরা সন্তোষ্ট হতে পারে। তার জন্য শক্তিশালী কমিটি বাস্তবধর্মী এবং তথ্যগত যে বিষয় রয়েছে তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।অাসা করছি ১৫ দিনের মদ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।