সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আবারো চড়াও হয়ে হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার সকালে আন্দোলনকারীদের বেধড়ক পিটুনি দেয় ছাত্রলীগ। এতে শিক্ষার্থীদের পূর্ব নির্ধারিত পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিল পণ্ড হয়ে গেছে।
জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করার জন্য সোমবার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে থাকে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কিছু কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এরা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে মারধর করে এবং মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর নাহার মিলা সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা করেছে। মেয়েদেরকেও তারা লাথি-ঘুষি মেরেছে। একজন মেয়ের মাথাও ফেটে গেছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূরসহ সাত শিক্ষার্থী আহত হন।
এরপর গতকাল কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরেক নেতা রাশেদ খানকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। রাজধানী শাহবাগ থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ছাত্রলীগের এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর পরীবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে আজকের কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর নাহার নীলা ও শফিউল আলম।