ঝড়-বৃষ্টি যা-ই হোক, মাথায় ছাতা আর গায়ে রেইনকোট চেপে হলেও বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মস্থলে যেতেই হবে। কর্দমাক্ত রাস্তায় জুতা-জোড়া কী হবে! বর্ষার জুতাও হতে হবে জুতসই। বাজারে এখন রাবার, রেক্সিন, স্পঞ্জ ও সিনথেটিকের জুতা ও স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো পানিতে ভিজলে নষ্ট হয় না। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ধরনের পানিরোধক গামবুটও।
ওরিয়ন ফুটওয়্যারের ব্যবসায় উন্নয়ন বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য রয়েছে বিশেষ ফ্লিপফ্লপ জুতা, যা বানানো হয়েছে ইভিএ (রাবারের মতো একপ্রকার উপাদান) ও পিভিসি ম্যাটেরিয়াল দিয়ে। জুতাগুলো রংচঙা, সহজেই তরুণদের আকৃষ্ট করবে। ওজন বেশ হালকা, পরিবেশবান্ধব ও রিসাইকেলেবল। এসব জুতা পাওয়া যাচ্ছে ১২০ থেকে দেড় হাজার টাকায়।’
এপেক্সের ব্র্যান্ড অফিসার তানভীরুল খবীর বলেন, সাধারণত সম্পূর্ণ চামড়ায় তৈরি জুতায় হালকা বৃষ্টিতে পানি প্রবেশ করে না। পুরো পানিতে ভিজলে বিশেষ ক্ষতিও হয় না। বৃষ্টির জন্য এপেক্সে রয়েছে সিনথেটিক ম্যাটারিয়ালের জুতা ও স্যান্ডেল। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ফ্লিপফ্লপ স্যান্ডেলে বিশ্বকাপ ফুটবলের নানা স্মারকও তুলে ধরা হয়েছে। সিনথেটিক ম্যাটারিয়ালে তৈরি বিভিন্ন স্যান্ডেল ও স্লিপারগুলো পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৪৫০ টাকায়। রয়েছে পুরো সিনথেটিকের জুতা, যার দাম ১২০০ টাকার মতো। মেয়েদের জন্য কিছু স্যান্ডেল বিশেষ চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয়, যা পানিতে ভিজলে নষ্ট হয় না। মেয়েদের জন্য আরো আছে স্প্রিন্ট কাপড়ের ক্যানভাসের জুতা, যেগুলো পানিতে নষ্ট হয় না। এগুলো বেশ টেকসই ও মানানসই। শু-ও রয়েছে মেয়েদের জন্য। নকশায় ফ্লাওয়ার প্যাটার্ন, ক্যামোফ্লেক্স ও ফ্লোরাল ডিজাইন করা হয়েছে।
পুরুষদের জন্য রয়েছে বুট, দেখতে বেশ ট্রেন্ডি ও মডার্ন। এগুলো ট্রেকিং ও রাফ বুট, যা পুরো চামড়ায় তৈরি। সোল হয় চামড়া, রাবার ও সিনথেটিকের।
কোথায় পাবেন
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে জুতা পাবেন এপেক্স, বাটা, বে-এম্পোরিয়াম, জেনিস, ওরিয়নের শোরুমের বিভিন্ন শাখায়। ঢু মারতে পারেন জুতার বাজারখ্যাত রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড কিংবা ইস্টার্ন প্লাজা, রাপা প্লাজা, রাইফেলস স্কয়ার ও বসুন্ধরা সিটিতে। এ ছাড়া চায়না ও দেশি বৃষ্টি উপযোগী স্যান্ডেল পাবেন নিউ মার্কেট, গুলিস্তান, মতিঝিল, স্টেডিয়াম এলাকা, ঢাকা কলেজ ও ফার্মগেট সংলগ্ন ফুটপাতে।
রং বিচার
বর্ষায় ফেন্সি চটকদার কালারফুল পাতলা স্যান্ডেল পরুন। রেডিয়াম গ্রিন, হট পিংক, নেভি ব্লু, লাল ও কমলা রঙের স্যান্ডেল ভালো মানাবে। আকাশের মন খারাপ করা দিনগুলোতে আপনাকে আনন্দদায়ক প্রেরণা দেবে।
টিপস
♦ বর্ষায় চামড়ার জুতা ব্যবহার না করাই ভালো। ভেজা জুতা বেশিক্ষণ পরা থাকলে সর্দি-কাশিসহ পায়ে চর্মরোগ হতে পারে। করলেও ওয়াটারপ্রুফ লেদারের জুতা পরুন।
♦ পায়ের মাপ অনুযায়ী জুতা কিনুন। গোড়ালির পেছনে সোল বেরিয়ে থাকলে হাঁটার সময় কাদা-পানির ছিটে কাপড় নোংরা হবে।
♦ কয়েক মাস পায়ে দেওয়ার পর সোলের নিচের অংশ ঘর্ষণের কারণে ক্ষয়ে যায়। এতে স্লিপ করার শঙ্কা থাকে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
♦ অফিস অথবা কাজের জায়গায় এক জোড়া অতিরিক্ত জুতা বা স্যান্ডেল রাখুন।
♦ বেশি কর্দমাক্ত স্থানে পায়ের আঙুলগুলো ঢাকা পড়ে এমন স্যান্ডেল পরুন। এতে পায়ের নখ ও কিউটিকলস রক্ষা পাবে।