সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় গাইবান্ধাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন। এজন্য সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভায় এজেন্ডার বাইরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তিনি ছয়টি নির্দেশনাও দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এগুলো হলো, ১. বাসের চালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ২. লং রুট বা দীর্ঘ পথে কখনোই একজন চালক ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে বিকল্প ড্রাইভারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. রাস্তার পাশে চালক ও হেলপারদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে। যেখানে তারা বিশ্রাম নিতে পারবেন এবং সেখানে তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। ৪. যাত্রীদের অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা পারাপার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫. সড়ক পথের সিগন্যাল শতভাগ মেনে চলাতে হবে। সবাই যাতে সিগন্যাল মেনে চলে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ৬. প্রত্যেক পরিবহনে চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট বেঁধে রাখতে হবে। সিটবেল্ট না থাকলে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পর পর তারা একসঙ্গে বসে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন।