আবিদ আনোয়ারকে স্মারক ক্রেস্ট দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

গতকাল ২৪শে জুন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, গীতিকার ও মুক্তিযোদ্ধা আবিদ আনোয়ারকে তার ৬৮ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ফুলের তোড়া ও স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করেন বাংলা গান রচনাকৌশল ও শুদ্ধতা।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত জনপ্রিয় জীবন্ত কিংবদন্তী মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের পরিচালনায় পরিচালিত বাংলা গান রচনাকৌশল ও শুদ্ধতা’র সদস্যদের উদ্যোগে কবি আবিদ আনোয়ারকে এই স্মারক ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি বাংলা গান রচনাকৌশল ও শুদ্ধতা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের জন্য দোয়া করেন।

বাংলা গান রচনাকৌশল ও শুদ্ধতা থেকে জানানো হয়, স্যার সবাইকে স্নেহ ও দোয়া জানিয়েছেন, সেই সাথে দিয়েছেন অমূল্য উপদেশ, যা আমাদের সবার জন্য পথ চলার দিশারী। স্যারের উপদেশগুলো ছিলো-তোমার লিখ, হাজারটা লিখার প্রয়োজন নেই দু চারটে লিখ। তবে তা যেন হয় কাল জয়ী লেখা।
লিখা হতে হবে সহজ সরল, শ্রোতাদের কানে পৌঁছতেই যেন অন্তরে ছুঁয়ে যায়। লিখায় অবশ্যই কাব্য থাকবে, তবে তা যেন অতি কাব্য না হয়।

শিল্পী যেই হোক তাতে সমস্যা নেই, তবে সুরকার হতে হবে সত্যিকারের সংগীত প্রেমিক ও নিখুঁত শিল্পকর্মী। গান বেঁচে উঠলে যুগে যুগে নানা শিল্পীই গাইতে পারে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। গান লিখবে, দেশপ্রেম নিয়ে, মানব-মানবীর প্রেম নিয়ে, প্রকৃতি ও সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে। এমন গান লিখবে যেন অমর হয়ে যায়, যেমন-তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়, হলুদ বাট মেন্দী বাট ইত্যাদি ইত্যাদি।

স্যার আরও বললেন, তোমাদের সাথে কথা বলে ভালো লাগলো, কারণ তোমারা শুদ্ধ লিখাটা পুরোপুরি বুঝতে পারো বলে। তিনি আরো বেশ কিছু গান শুনালেন, বেশ কিছু বইয়ের কথা বললেন, আবার ওনার বাসায় যাবার জন্য নিমন্ত্রণ করলেন। গ্রুপের সবাইকে স্নেহ ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বাংলা গান রচনাকৌশল ও শুদ্ধতা’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুদ্ধ বাংলা গান চর্চা ও রচনা। অশুদ্ধতাকে না বলা। শুদ্ধ বাংলা গান রচনায় তাদের এমন সংকল্প বাংলা সঙ্গীতকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে বলে আশা করি। তবে দেশের খ্যাতিমান গীতিকবি, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পীদেরকে তাদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো ধারাবাহিক ভাবে চলবে।