২৫ জুন মেয়াদ শেষ, কে হচ্ছেন পরবর্তী সেনাপ্রধান!

নতুন বিমানবাহিনী প্রধান নিয়োগের পর সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসন্ন। সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের মেয়াদ আগামী ২৫ জুন শেষ হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের ১১ জুন সরকার তাঁকে ২৫ জুন থেকে পরবর্তী তিনি বছর মেয়াদের জন্য সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিয়েছিল এবং ওই দিনই তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল থেকে জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেছিলেন। তিনি জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়ার স্থলাভিষিক্ত হন।

জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের মেয়াদ বাড়ানো না হলে বর্তমান তিন লে. জেনারেলের মধ্য থেকে একজনকে দেশের ১৫তম সেনাপ্রধান নিয়োগ করা হতে পারে।

ওই তিনজন হলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল মাহাফুজুর রহমান, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লে. জেনারেল আজিজ আহমদ ও চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মো. নাজিমুদ্দিন। সেনাবাহিনীর আরেক লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ৩১ মে অবসরে গেছেন। সেনাপ্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতাএকমাত্র মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয় না।বিভিন্ন সময়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে অন্যজনকে সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে সেনাপ্রধান হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলেও পরে কয়েকজনের ক্ষেত্রে মেয়াদ বাড়ানো হয়। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তিন বছরের মেয়াদে নিয়োগ পেলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ‘জনস্বার্থে’ তাঁর মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছিল।

এ ছাড়া ২০১২ সালের ৭ জুন সেনাবাহিনীর তৎকালীন কিউএমজি লে. জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়াকে সেনাপ্রধান পদে নিয়োগপত্র দিয়ে ওই দিনই আগের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল মুবীনের চাকরির মেয়াদ ২০১২ সালের ১৫ জুন থেকে আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সদ্য প্রণীত আইনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানদের পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর করা হলেওএবারও তিন বছর মেয়াদে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। বিমানবাহিনীর নতুন প্রধানকেও তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত বছর ৩১ জুলাই সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর নির্ধারণ করে এসংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সরকার। পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তা সংসদে পাস হয়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ