বৈরী আবহাওয়ায় জেলেদের ঈদের আনন্দ ম্লান

ঈদের আগে ইলিশের ভরা মৌসুম পেয়ে আনন্দে রঙিন স্বপ্ন দেখছিলেন হাজার হাজার জেলে। ফলে মাছ শিকারের জন্য যাত্রা করলেও বৈরী আবহাওয়ায় ভারী বর্ষণ ও সাগর উত্তাল থাকায় তাদের সেই স্বপ্ন ও আনন্দ ম্লান হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে জেলে পরিবারগুলো।

কেননা, এই ইলিশ শিকার করেই উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার উপকূলবর্তী এলাকার অসংখ্য জেলে ঈদে তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক কেনার স্বপ্ন বুকে নিয়ে সাগরে যাত্রা করেছেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ শিকাররত জেলেরা এখনও ফিরে আসেনি। এতে তাদের স্বজনদের মধ্যে ইতোমধ্যেই ঈদ আনন্দ ম্লানের ছাপ পড়েছে। কেননা, যেসব মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা ঝড়-তুফান উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে ইলিশের সন্ধানে সমুদ্রে গেছেন তাদের স্বজনেরা চিন্তায় সময় পার করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রলার মালিক এবং আড়তদাররা জানান, জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকেই ইলিশের মৌসুম শুরু হয়। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার উপকূলবর্তী এলাকার অসংখ্য জেলেকে অনেক স্বপ্ন বুকে নিয়ে সাগরে পাঠানো হয়েছে মাছ শিকারের আশায়। কিন্তু তাদের মুখেও হতাশার ছাপ পড়েছে।

সাগরে মাছ শিকারের সঙ্গে তাদের জীবনযাত্রা নির্ভরশীল হওয়ায় এবার ঈদ তাদের কাছে ঈদ মনে হবে না বলেন জানান ট্রলার মালিক এবং আড়তদাররা।

জানা গেছে, পাথরঘাটার শতকরা ৯০ ভাগ অর্থনৈতিক যোগান আসে মৎস্য সেক্টর থেকে। এ কারণে এখন পর্যন্ত জেলেদের জালে মাছ না পড়ায় ঈদ বাজারেও তেমন প্রভাব পড়ছে না। সকাল থেকে দুপুর হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত বাজারে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখলেও ক্রেতা শূন্য দেখা যায় ঈদ বাজার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, এবার ঈদকে সামনে রেখে মৌসুম শুরুর ১০/১২ দিন আগেই সাগরে পাঠানো হয়েছে ট্রলার। ইতোমধ্যে যে ট্রলারগুলো ফিরে এসেছে তার মধ্যে দু/একটি ট্রলার মোটামুটি মাছ পেলেও অধিকাংশ ট্রলারের বাজার সদায়ের খরচই উঠবে না।

অথচ ইলিশ শিকার করে ফিরে এসে ঈদের কাপড় কিনবে বলে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গেছেন বলেও জানান তিনি।