আসন্ন ঈদুল ফিতর কে সামনে রেখে দেশের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে । বিশেষ করে ছিনতাই মাত্রাটা বেড়ে যায়।আসন্ন ঈদুল ফিতরসহ স্থায়ীভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চলতি মাসে থেকে চালু হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির দুটি ড্রোন। এর সাহায্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পুরো শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি ঈদের জামায়াতগুলোও নিয়ন্ত্রণ করা হবে ড্রোন দিয়ে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ও ঘটনাস্থলে দ্রুত গিয়ে অপরাধীকে সনাক্ত করতে বাংলাদেশে এই প্রথম নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপারের বিশেষ উদ্যোগে ড্রোন চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন আকাশ পথে শহরের স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ করবে এই ড্রোন ক্যামেরা। রাতেও ড্রোন উড়ানো যাবে। নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লা আল মামুন জানান, সারা দেশে জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রথম উদ্যোগ এটি। ড্রোন ক্যামেরা নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চলে টেটা যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করবে, যার ফলে অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নরসিংদীর চরাঞ্চলে দলে দলে মানুষ টেটা যুদ্ধ করে থাকে। এই রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের সময় উত্তেজিতরা পুলিশ দেখলে আরও ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় আমরা ড্রোন উড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিতে পারবো।’
পুলিশ সুপার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রেণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ড্রোন ব্যবহার করে। সেসব দেশে এর সুফলও পাচ্ছে। তাই বাংলাদেশ পুলিশেও ড্রোন ব্যবহারে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।গত ৬ জুন থেকে নিজ এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন জানিয়ে সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এটার কয়েকটি দিক রয়েছে।
প্রথমত, যখন খুশি তখনই আমরা এলাকাতে পেট্রলিং করতে পারছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় প্রবেশ করা যায় না, গিঞ্জি, সেখানের পরিস্থিতিও সহজে দেখা যায়। এতে অপরাধীদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যেসব এলাকায় মাদকসেবীদের জমায়েত হয়, বখাটেদের আড্ডা দেয় সেসব জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা হয়।’প্রতিটি ড্রোন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে। বর্তমানে জেলা পুলিশের পাঁচ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে একটি নজরদারি ইউনিট গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান এসপি।
এদিকে পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জেলাবাসী। জেলা পুলিশের ড্রোন ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সব জেলায় এমন কার্যকর নজরদারি চাই। তাহলে হয়তো সব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’