১) যারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে দেহে উল্কি (সুচিবিদ্ধ করে চিএ অংকন) করে বা অন্যের মাধ্যমে করিয়ে নেয়।
(২) যে নারী পর্দা করে না, বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করে।
(৩) যারা আল্লাহর দেওয়া সৌন্দর্য, ভ্রু উপরিয়ে চিকন করে নিজেরা সৌন্দর্য তৈরি করে।
(৪) যে নারী পরচুলা লাগায়। (বুখারীঃ ৪৮৮৬)
(৫) যে নারী দাত সমূহ কে শনিত ও সরু বানায় (সহীহ বুখারীঃ ৪৮৮৭)
(৬) যে নারী পুরুষের বেশ ধারন করে, পুরষের মতো চলা ফেরা করে, পুরুষের পোশাক আশাক পরে ঘুরে বেড়ায় (বুখারীঃ ৪৪২৯)
এই সমস্ত নারীদের প্রতি লানত করা হইছে। সুতরাং হে বোন সাবধান উপরোক্ত কাজ গুলো থেকে। ভয় করো সেই দিনের, যেই দিন তোমার রুপ, সৌন্দর্য তোমার কোন কাজেই আসবে না। স্মরণ কর সেই অন্ধকার কবরকে, যেখানে তোমাকে একাই যেতে হবে…।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “বাল তু’সিরুনাল হায়াতাদ-দুনিয়া, ওয়াল আখিরাতু খায়রুও-ওয়া আবক্বা।” অর্থঃ বরং তোমরা পার্থিব জীবনকেই বেশি প্রাধান্য দাও, অথচ পরকালের জীবন হচ্ছে চিরস্থায়ী। (সুরা আল-আ’লা) আল্লাহ আমাদের সকলকে মুসলিমাকে সকল প্রকার অশ্লীলতা থেকে ১০০% মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুক।
আমিন
ইসলাম তার শিক্ষা ও আদর্শের মাধ্যমে মানব প্রকৃতিকে- যা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন- সমর্থন ও শক্তিশালী করে। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে দ্ব্যর্থহীন কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে নারী-পুরুষ দুই শ্রেণীতে সৃষ্টি করেছেন। এরা যাতে একে অপরের সম্পূরক হয়। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ ঠিক রাত-দিনের মতো। যে দুয়ের সমন্বয়ে হয় একটি দিন। কিংবা বলা যায় ইতি ও নেতিবাচক স্রোত তথা জোয়ার-ভাটার মতো, যে দুইয়ের যোগে গঠিত হয় বিদু্ৎ-শক্তি। এ বিদু্ৎ-শক্তি সঞ্চার করে বহু জড় পদার্থে প্রাণ ও প্রাণস্পন্দন।
আল্লাহ তা‘আলা নারীকে যেসব অনন্য বৈশিষ্ট্যে শোভিত করেছেন, তার অন্যতম হলো আচার-আচরণে আহ্লাদের প্রাচুর্য ও আবেগের বাহুল্য। তেমনি গঠন-প্রকৃতিতেও নারী কোমলতা ও এমন নম্রতায় সমুজ্জ্বল, যা পুরুষের সঙ্গে বসবাসরত পরিবেশে তার স্বাধীনতাকে করে সীমাবদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা নারীকে স্বভাব-চরিত্রেও বানিয়েছেন কোমল। যাতে সে শুষে নিতে পারে পুরুষের যাবতীয় রুক্ষতা। কেড়ে নিতে পারে তার হৃদয়-অন্তর। নারীর সান্বিধ্য পুরুষকে দেয় মানসিক আশ্রয়। যেখানে এলে তার টেনশন-অস্থিরতা লঘু হয়। কেটে যায় সব ক্লান্তি ও বিস্বাদ। একইভাবে সে যাতে হয় মমতাময়ী এবং শিশুর লালন-পালনে উপযুক্ত।