‘অনেকবার চাপ এসেছিল অ্যাবোরশন করার জন্য’

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। তিনি একজন মডেল ও অভিনেত্রী। বিভিন্ন সময়ে তিনি তার ভিন্ন ভিন্ন চিন্তাধারার জন্য বার বার আলোচনায় এসেছেন। ইতোপূর্বে প্রিয়তি নানা কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। নারী পুরুষের যৌনতা নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন এই সুন্দরী মডেল ও অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার (৫ জুন) গর্ভপাত বা অ্যাবোরশন বিষয়ে প্রিয়তি তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

মডেল ও অভিনেত্রী মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-

তিনি লিখেছেন ‘সম্পর্কের টানাপড়েন থাকার কারণে অনেকবার চাপ এসেছিল অ্যাবোরশন করিয়ে ফেলার জন্য। আমার উত্তর শক্ত ‘‘না’’ ছিল। যদি নিজেরা দায়িত্বহীন হই তাহলে একটা জীবনকে হত্যা করার আমাদের কোনো অধিকার নেই। তখনই জানতাম, যুদ্ধ আমাকে একাই করে যেতে হবে সারাজীবন। মেনে নিয়েছি, প্রস্তুত হয়েছি ধীরে ধীরে।

তখন যা আমার জানার দরকার ছিল, তা হলো প্রোপার সেক্স এডুকেশন। একটা কথা আমাদের সমাজে মোটামুটি স্টাব্লিশ, তা হলো অ্যাক্সিডেন্টলি হয়ে গিয়েছে বা অ্যাক্সিডেন্টলি স্পার্ম বের হয়ে গিয়েছে, যা ছেলেরা নিজেরাই জানে না। এই কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। অ্যাক্সিডেন্টলি কেউ প্রেগন্যান্ট হয় না, দায়িত্বহীনতায় হয়।

পুরুষেরা খুব ভালো করেই জানে কখন তার স্পার্ম নিঃসৃত হবে এবং সেটা তারই নিয়ন্ত্রণে থাকে, কখনো থেকে থেকে স্পার্ম নিঃসৃত হয় না, একসাথে হয়। সুতরাং, তা জানা সত্ত্বেও অনেক সময় নিজের দোষ এড়ানোর জন্য অনেক ছেলে চুপ থেকে যায় যে তার বীর্যের ফোঁটা নারীর দেহের ভেতর পড়েছে।

আরও পড়ুন: কোন শব্দ বেশী প্রযোজ্য এই মেয়ের বেলায়?

স্পার্ম বের হওয়ার পরও দৈহিক মিলনেও প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি কোনো প্রোটেকশন না থাকে, কেননা অবশিষ্ট বীর্য থেকে যায় পুরুষাঙ্গের নালীর ভেতর, যা ২৪ ঘণ্টা অ্যাকটিভ থাকে। কথা বললে আসলে অনেক কথা বলা যায়। জানা প্রয়োজন। একটি ভ্রƒণ হত্যা করার আগে জানুন।’

বাংলাদেশি বংশদ্ভুত মেয়ে মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি আয়ারল্যান্ডের একজন তারকা। ‘মিজ আয়ারল্যান্ড ২০১৪’ খ্যাত প্রিয়তি ‘মিজ আর্থ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপও হয়েছিলেন।