বয়স ২০ হতেই প্রতিবন্ধী হয়ে যায় একে একে তিন ভাইবোন!

জন্মের পর থেকে সুস্থ্য স্বাভাবিক থাকলেও বয়স ২০ হতেই প্রতিবন্ধী হয়ে যায় একে একে তিন ভাইবোন। বর্তমানে তিন ভাইবোনকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন তাদের দরিদ্র বাবা-মা। পাশাপাশি তাদের ছেলে মেয়েকে নিয়েও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন তারা।

তাদের আশঙ্কা- তাদের অন্য ছেলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে কী-না! ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের ছেলেমেয়ে তারা। প্রতিবন্ধী মেয়ে বিউটি, দুই ছেলে মাকসুদ ও নজরুল স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারলেও হাঁটতে পারে না তারা। হাঁটতে গেলেই পড়ে গিয়ে আঘাত পায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিইয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নুরুইসলাম দিনমজুরি করে সংসার চালান। বয়স ৫০ ছুঁয়েছে। কাজ না থাকলে বাড়িতে বসে বসেই দিন কাটান। ধীরে ধীরে তারা বড় হতে থাকলে বুঝতে পারেন তারা বাকপ্রতিবন্ধী। বয়স প্রায় ২০ হতেই তার মাঝে আরও নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ শুরু করে তারা।

তার মেয়ে বিউটি স্বাভাবিকভাবেই বড় হতে থাকে কিন্তু এক সময় তারা হঠাৎ স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না। ছোটবেলায় সুস্থ্য-স্বাভাবিক থাকলেও বয়স ২০ হতেই প্রতিবন্ধী হয়ে যায়।

বাবা দিনমজুর নুরু ইসলাম বলেন, অভাবের সংসারে চার ছেলে চার মেয়ে তার মধ্যে দুই ছেলে এক মেয়ে প্রতিবন্ধী নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। টাকার জন্য তাদের চিকিৎসা করাতেও পারছি না। পেটের ভাত জোগাড় করতেই আমাদের কষ্ট হয় সেখানে চিকিৎসার কথা তো চিন্তাও করতে পারি না। সরকারিভাবে দুই জনের প্রতিবন্ধী ভাতা মাত্র ১৪০০ শ’ টাকা পাই, এ নিয়ে কোন রকম দীন কাটাই।

অন্যদিকে উপজেলা সমাজসেবা র্কমর্কতা মেহেদী হাসান জানান, মেম্বার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একই পরিবারের তিন জনের নাম আসলে আমাদের দিতে কোন আপত্তি নেই।

ইউপি চেয়ারম্যান জিএস ভুট্রো তালুকদার জানান, নুরু ইসলামের দুই ছেলে এক মেয়ে প্রতিবন্ধী। কেন এমন হয়েছে জানি না। এরমধ্যে দুই জনের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হচ্ছে বাকি একটি নাম আমরা আগামী মাসে তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হবে।