বাংলাদেশি নারী দলের বছরটা ভালোই কেটেছে। বছরজুড়ে আলো ছড়ানোর পুরস্কার পেয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফারাজানা হক ও নাহিদা আক্তাররা।এক সপ্তাহের ব্যবধানে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থান পেয়েছেন ফারজানা ও নাহিদা। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উন্নতি করেন ফারজানা, তিনি রয়েছেন ১৩ নম্বরে।
এর আগে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা রেটিং পেয়েছিলেন স্পিনার নাহিদা। নভেম্বরে প্রথম কোনো টাইগ্রেস ক্রিকেটার হিসেবে তিনি মাসসেরাও নির্বাচিত হন। এবার ইসপিএন ক্রিকইনফোর দেওয়া বর্ষসেরা ওয়ানডে দলেও জায়গা করে নিয়েছেন নাহিদা।
ক্রীড়াভিত্তিক জনপ্রিয় এই ওয়েবসাইট নিজস্ব পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রতি বছরই বিভিন্ন ফরম্যাটের বর্ষসেরা একাদশ গঠন করে। এবার মেয়েদের ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য বানানো একাদশে বাংলাদেশের বাঁ-হাতি অফস্পিনার নাহিদার নাম রয়েছে। তবে ২০২৩ সালে পুরুষদের বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে অস্ট্রেলিয়া, ওয়ানডেতে ভারত আর টি-টোয়েন্টিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি থাকলেও টাইগার ক্রিকেটারদের ঠাঁই মেলেনি।
২০২৩ সালে সবমিলিয়ে ১১ ম্যাচ খেলেছেন নাহিদা। যেখানে ম্যাচপ্রতি ১৯.৪৫ গড়ে এই টাইগ্রেস স্পিনার ২০ উইকেট শিকার করেছেন। ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা পাওয়া বোলারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনারের। যদিও তিনি অলরাউন্ডার ক্রিকেটার। চলতি বছর তিনি ২১ উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া একাদশে থাকা বোলারদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার নাদিনে ডি ক্লার্ক ১৩ এবং নিউজিল্যান্ডের লিয়া তাহুহু নিয়েছেন ১৫ উইকেট।
বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের সোফি ডিভাইনকে। যিনি ৩৪৬ রানের পাশাপাশি ১২ উইকেট নিয়েছেন। ওপেনিংয়ে শ্রীলঙ্কান তারকা চামারি আতাপাত্তু ৬৯.১ গড়ে ৪১৫ এবং অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি ৭৭ গড়ে করেছেন ৩৮৭ রান। দারুণ পারফর্ম করা নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কের, ইংল্যান্ডের ন্যাট শাইভার-ব্রান্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যারিজান কাপ ও অজি অলরাউন্ডার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডও আছেন এই একাদশে।
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে একাদশ : চামারি আতাপাত্তু, বেথ মুনি (উইকেটরক্ষক), সোফি ডিভাইন (অধিনায়ক), অ্যামেলিয়া কের, ন্যাট শাইভার-ব্রান্ট, ম্যারিজান কাপ, অ্যাশলি গার্ডনার, অ্যানাবেল সাথারল্যান্ড, নাদিনে ডি ক্লার্ক, নাহিদা আক্তার ও লিয়া তাহুহু।