হাওড়া জেলায় হুগলি নদীর উপরে ২২ লক্ষ টাকায় নির্মিত ঐতিহাসিক রবীন্দ্রসেতু বা হাওড়া ব্রিজ আজও মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই সেতু কলকাতা শহরকে যুক্ত করেছে।
তবে জেনে অবাক হবেন এই ব্রিজটি দুপুর ও রাত ১২ টার সময় কয়েক মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এর কারণটি সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো।
হাওড়া সেতু একটি ঝুলন্ত সেতু এবং এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুগুলির মধ্যে একটি। দুটি বিশাল স্তম্ভের উপর স্থাপিত এটি। ২৮০ ফুটেরও বেশি উঁচু স্তম্ভ দুটি বিশাল কংক্রিট ব্লকের সাথে নদীর তলদেশে নোঙর করা হয়েছে। এই দুটি পিলারের মধ্যে দূরত্ব ১৫০০ ফুট। তাই এর উপর বেশি ওজন থাকলে ভেঙে পড়তে পারে।
আসলে, ইংরেজদের আমলে যখন হাওড়া ব্রিজটি বানানো হয়েছিল তখন ইঞ্জিনিয়াররা ভেবেছিল ২৫ হাজার টনের বেশি ওজন নিতে পারবে না দুই দিকে থাকা স্তম্ভ দুটি। আর বুদ্ধিজীবীদের মতে, যেকোনো ব্রিজ ভেঙে পড়ার সময় হল ১২টা। কিন্তু তারা উল্লেখ করেননি যে দুপুর ১২টা নাকি রাত্রি ১২টা।
আর সেই কথা মেনে দুপুর ও রাত ১২টার সময় ৩-৪ মিনিটের জন্য সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও এই তথ্যের কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। প্রতিনিয়ত এই ব্রিজের দেখভাল করা হয় কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্রিজের কাঠামোতে মরচে পরতে শুরু করেছে। মানুষের পানের পিক ও পশুপাখির মলমূত্রের কারণে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রতিবছর এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু কেউ জানে না আর কতদিন মানুষের ভার সইবে এই ব্রিজটি।
এদিকে কিছু লোক বলেন, হাওড়া ব্রিজ কোনভাবেই ভেঙে পড়বে না, এই ১২টার সময় বন্ধ রাখা একটি চালাকি, কারণ যাতে মানুষের ওজন ছাড়া ব্রিজটি কিছু সময় শান্তিতে থাকতে পারে।