নেপিয়ারে শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে বড় অবদান পেসারদের। শরিফুল ইসলাম-তানজিম সাকিবদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে একশ রানও করতে পারেনি স্বাগতিকরা। কিউইদের এত অল্প রানে অলআউট করে দেবে বাংলাদেশে, তা ভাবেননি নাজমুল হোসেন শান্তও।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩১ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৯৮ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে উইল ইয়াংয়ের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার। জবাবে খেলতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভার ১ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৫১ রান করে অপরাজিত থেকেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষ ওয়ানডে জিতলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের পর শান্ত বলেন, ‘আমাদের সবাই যেভাবে বোলিং করেছে, যাকে যখন বোলিংয়ে এনেছি সবাই সবার দায়িত্ব পালন করেছে। অবশ্য শরিফুল দ্বিতীয় স্পেলে এসে দুইটা উইকেট তুলে দিছে তখন মোমেন্টামটা আমাদের দিকে এসেছে। আমি শুধু একজনকে ক্রেডিট দিতে চাই না। আমার মনে হয় প্রত্যেকটা বোলারই দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করেছে এবং যা প্লান করেছিলাম ওই অনুযায়ী বোলিং করতে পেরেছি।’
গত দুই ম্যাচে কিউই ব্যাটাররা সহজেই খেলেছে বাংলাদেশি পেসারদের। নতুন বলে কিছুটা বাড়তি সুইং আর বাউন্স পেলেও তা মানিয়ে নিয়েছিলেন কিউইরা। তবে আজকের ম্যাচে পুরো ইনিংস জুড়েই দুর্দান্ত ছিলেন পেসাররা।
আজকের ম্যাচের উইকেট নিয়ে শান্ত বলেন, ‘এই উইকেটে অতিরিক্ত কোনো সুবিধা ছিল না। তবে সকালে পেসারদের কিছু সাহায্য করেছে। আমি ওটাই করার চেষ্টা করেছি যে, কত লম্বা সময় ধরে পেসারদের দিয়ে বোলিং করাতে পারি।’
৯৮ রানে নিউজিল্যান্ড অলআউট হবে এটা তারা ভেবে ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেন, ‘না, এরকম তো চিন্তা করিনি। আমরা যে জিনিসটা পুরো সিরিজে করেছি তা হলো প্রসেসটা কি, ওটাই শুধু করার চেষ্টা করেছি। যখন আমরা লম্বা সময় ধরে ভালো বোলিং করেছি, তখন উইকেট পেয়েছি।’