অনুমতি না পেলেও একের পর এক কর্মসূচির ঘোষণা জামায়াতের

রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াতে ইসলামী। এরই অংশ হিসেবে অনুমতি না পেলেও একের পর এক কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে দলটি। গত জুনে ঢাকায় একটি সমাবেশের অনুমতি পায় জামায়াতে ইসলামী। এরপর থেকে তাদের আর কোনো কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে বারবার কর্মসূচি পিছিয়ে আবার আবেদন করে যাচ্ছে দলটি।

দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, একের পর এক কর্মসূচির ঘোষণার মধ্য দিয়ে দলটি দেখাতে চাইছে যে তারা নিয়ম মেনে আবেদন করছে, কিন্তু সরকার ও প্রশাসন তাদের প্রতি চরম বৈরী আচরণ করছে। এরপরও জামায়াত সংঘাতে না গিয়ে ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করে আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছে।

গতকাল শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত। এর প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। শুক্রবার (৪ আগস্ট) ঢাকার একটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি করার। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দিয়ে সংঘাতের পথ সৃষ্টি করছে। আমরা সেদিকে যাচ্ছি না, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই অগ্রসর হতে থাকব।

গত দুই মাসে রাজধানীতে চারটি পৃথক সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর ১০টি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। চারটি প্রতিনিধিদলও ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যায়। এর মধ্যে কেবল গত ১০ জুন তারা পুলিশের মৌখিক আশ্বাস পেয়ে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশ করতে সক্ষম হয়। এর আগে ৫ জুন এবং ১ আগস্ট জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এবং সর্বশেষ ৪ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছিল।

এ ছাড়া গত জুনে সিলেট ও চট্টগ্রামে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে পুলিশের অনুমতি পায়নি। ওই দুটি সমাবেশের জন্য জামায়াত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার বরাবর পাঁচটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছিল বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। পুলিশের অনুমতি না পেয়ে ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। একইভাবে ২৮ ও ৩১ জুলাই জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিলের জন্যও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে অনুমতি পায়নি। তবে অনুমতি ছাড়াই তারা বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে মিছিল করে।