সময় বাড়িয়েও পাওয়া যাচ্ছে না হজযাত্রী

দুই দফা সময় বাড়িয়েও হজ নিবন্ধন কোটা পূরণ হয়নি অর্ধেকও। ফলে নিবন্ধনের জন্য আরেক দফা সময় বাড়িয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়। এ দফায় ৯ দিন সময় বাড়িয়ে আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ৭ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় মন্ত্রণালয়টি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। সে সময় নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু নিবন্ধনে তেমন সাড়া না পাওয়ায় সময় আরও ৫ দিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়। সে সময়েও কোটা পূর্ণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফা নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৭ মার্চ শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তাতেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় তৃতীয়বারের মতো সময় বাড়ালো ধর্ম মন্ত্রণালয়। সময় বাড়ানো হয়েছে ১৬ মার্চ পর্যন্ত।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক্-নিবন্ধনের ক্রমিক আগের সিরিয়াল বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৬০৫ পর্যন্ত এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক্-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক আগের সিরিয়াল বহাল রেখে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৯০ পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। কোটা পূর্ণ হয়ে গেলে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

সৌদি আরবের সঙ্গে করা হজ চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। গতকাল পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৫৯ হাজার ২৯২ জন। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৫০ হাজার ১৯৩ জন এবং সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৯ জন। কোটা পূরণে এখনও বাকি রয়ে গেছে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৬৭ হাজার ৯০৬ জন।

এ বছর সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। আগের বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজে খরচ বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা করে। এর মধ্যে বিমান ভাড়াই বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি। এছাড়া মক্কা-মদিনায় বাড়ি-ভাড়া ও তাঁবুর খরচ বেড়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।

হঠাৎ করে এভাবে দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রাক-নিবন্ধনকৃতদের অনেকেই হজ পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। উপায়ান্তর না দেখে অনেকেই তাদের প্রাক-নিবন্ধনও বাতিল করেন। তারা তুলে নিয়েছেন নিবন্ধনের জন্য জমা দেওয়া টাকাও। ফলে দুই দফা সময় বাড়িয়েও অর্ধেক কোটাও এবার পূরণ হয়নি।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।