লীগ ওয়ানে শনিবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি ও মার্সেই। পয়েন্টে এক ও দুই নম্বরে অবস্থানে থাকা দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। তবে মেসি ও এমবাপ্পের নৈপুণ্যে সেটি আর হয়নি। পিএসজি জয় পেয়েছে অনায়াসে।
লিগ ওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মার্সেইকে রোববার রাতে ৩-০ ব্যবধানে হারায় ক্রিস্তেফ গালতিয়ের দল। তিনটি গোলেই জড়িয়ে ছিল মেসি-এমবাপ্পের নাম। মেসির এসিস্ট থেকে এমবাপ্পে করলেন জোড়া গোল, আর এমবাপ্পের বাড়ানো পাস থেকে মেসি পেলেন তার মাইলফলক গোল। এই দুজনের জুটিতে নেইমারের শূন্যতা অনুভব করেনি পিএসজি।
মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য ছিল পিএসজির। প্রতিপক্ষের মাঠে ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যান গলতিয়ের শিষ্যরা। মেসির বাড়ানো বলে এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশিং।
চার মিনিট পরে আসা পিএসজির দ্বিতীয় গোলে প্রথম গোলের বিপরীত ভূমিকায় এ দুই তারকা। এবার এমাবাপ্পের এসিস্টে মেসির লক্ষ্যভেদ। আর এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টাইন মহাতারকা ঢুকে গেলেন ইতিহাসের পাতায়।
ক্লাব ক্যারিয়ারে এটি তার ৭০০তম গোল। এর মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে করেছেন ৬৭২টি, পিএসজির হয়ে ২৮টি। ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) তথ্য অনুসারে, শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে ৭০০ ক্যারিয়ার গোল এখন মাত্র দুজনের। মেসির আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, ক্লাব ক্যারিয়ারে ৯৫৭ ম্যাচে যার গোল ৭০৯টি।
তবে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে খেল ৭০০ গোল করেছেন একমাত্র মেসিই। রোনাল্ডোর ৭০৯ গোলের মধ্যে ৮টি সৌদি প্রো লিগ ও ৫টি পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগায়।
৫৫ মিনিটে এমাবাপের সৌজন্যে তৃতীয় গোলটি পায় পিএসজি। এবারও বলের জোগানদাতা মেসি। শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন ভিতিনিয়া। কিন্তু অনেকটা দোন্নারুম্মা বরাবর শট নিয়ে দলকে হতাশ করেন এ পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে ২৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করল পিএসজি। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এগিয়ে গেল ৮ পয়েন্টে। ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মার্সেই।