ভয়াবহ ভূমিকম্পে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ায় শত শত বাড়িঘর ধসে পড়ার পর সেগুলোর নিচে আটকা থাকা মানুষদের বাঁচাতে চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে ভূমিকম্পের বিস্তৃতি এবং ধ্বংস এতই বিশাল যে, উদ্ধারকারীরা সব জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না। এছাড়া তুষারপাত, বৃষ্টি এবং অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।
তুরস্কের দক্ষিণ দিকের হাতেই প্রদেশে সারারাত কোনো উদ্ধার কাজ করা যায়নি। এখানে মঙ্গলবার সকালেও কোনো উদ্ধারকর্মী আসেননি।
হাতেই প্রদেশের দানিজ নামের এক পুরুষ বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সেখানে অনেক মানুষ ধ্বংস্তুপের নিচের আটকে পড়ে আছে। তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। কিন্তু উদ্ধারকারীর না আসায় তারা কিছুই করতে পারছেন না।
বৃষ্টির মধ্যে চোখ ভেজা কান্নারত দানিজ বলেছেন‘ তারা (ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়া মানুষ) চিৎকার করছেন। কিন্তু কেউ আসছে না।’
‘আমরা হতাশ, ও আল্লাহ….তারা চিৎকার করছে। তারা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না…সকাল থেকে এখানে কেউ নেই।’
এরমধ্যে সিরিয়ার উদ্ধারকারী সংস্থা হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, ‘ধ্বংস্তুপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তারা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন।’
এদিকে ভূমিকম্পে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর যারা এখনো ধ্বংসস্তুূপের নিচে আটকে আছেন, কিন্ত বেঁচে আছেন— তাদের যদি উদ্ধার না করা যায় তাহলে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার পেরিয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪ হাজার জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।