২০২২ সালে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ২৪৪ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটি বাদে বিদায়ী বছরে ৬৫৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। যা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।
করোনার মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের কারণে বিশ্বের স্টক মার্কেটের মতো বাংলাদেশের পুঁজিবাজার লেনদেনের গতিও কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন ডিএসইর সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভারপ্রাপ্ত সাইফুর রহমান মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক অর্থনীতি টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, এরই ধারাবাহিকতায় বছরের শেষভাগে দেশের পুঁজিবাজার একটা বিয়ারিশ ট্রেন্ড (সামগ্রিকভাবে বাজারের নিম্নগতির প্রবণতা) পার করেছে।
তিনি বলেন, আশা করি, ২০২৩ সালের শুরুতেই এই সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। এর মূল কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি তার বৈশিষ্ট্যগত সহনশীলতার কারণে বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এছাড়া ২০২৩ সালের শুরুতেই ডিএসইর অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড চালুকরণ, মোবাইল অ্যাপসের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, বন্ড মার্কেটের জন্য স্বতন্ত্র অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠাসহ বাজারের অধিকতর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গুণগত সম্প্রসারণের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, পুঁজিবাজারে এর সুফল বয়ে আনবে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২২ সালে ডিএসইতে ২৪৪ কার্যদিবসে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যা গড় লেনদেন ৯৬০ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর আগে ২০১০ সালে গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ৬৪৩ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ২০২১ সালে গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, বিদায়ী বছরের ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫৮টি। এর মধ্যে কোম্পানি ৩৫৪টি, মিউচুয়াল ফান্ড ৩৭টি, ডিবেঞ্চার ৮টি, গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড ২৫০টি এবং কর্পোরেট বন্ড ৯টি। যার বাজার মূলধনের কাঠামো কোম্পানি ৫৭দশমিক ৭৮ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড দশমিক ৫১ শতাংশ, কর্পোরেট বন্ড দশমিক ৪৪ শতাংশ, ডিবেঞ্চার দশমিক ০১ শতাংশ এবং গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড ৪১ দশমিক ২৭ শতাংশ।