কাতার বিশ্বকাপের আসল লড়াই চলছে। ফাইনালে উঠার লড়াই আজ থেকে শুরু। আজ আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবে। আগামীকাল দুর্দান্ত লড়াইয়ে নামবে ফ্রান্স ও মরোক্কো।
ফ্রান্স-মরক্কোর লড়াই ফুটবল বিশ্ব দেখেছিল ১৫ বছর আগে। কাতার বিশ্বকাপ আবারও তাদের লড়াইয়ে নিয়ে এলো।
মরক্কোর বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ফরাসিরা। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে ইতিহাস গড়া আফ্রিকার দলটির বিপক্ষে তারা এবার আধিপত্য ধরে রাখতে পারবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
পরিসংখ্যান
* অফিসিয়াল ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে একবারও হারেনি ফ্রান্স। দুই দলের সবশেষ সাক্ষাৎ ২০০৭ সালে। প্যারিসে প্রীতি ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
* ষাট, সত্তর ও আশির দশকে আনফিসিয়াল ম্যাচও খেলেছিল ফ্রান্স ও মরক্কো।
* বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফ্রান্স ও মরক্কো। অফিসিয়াল আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখন পর্যন্ত দুই দল পাঁচবার পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে; প্রথম দেখা ১৯৮৮ সালে, যেখানে ২-১ গোলে জিতেছিল ফরাসিরা।
* কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ছাড়িয়ে গেছেন ২০১৮ আসরে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের পথে করা নিজের ৪ গোল। বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচ খেলা ২৩ বছর বয়সী এমবাপের এখন গোল মোট ৯টি।
* মরক্কোর বিশ্বকাপ অভিষেক ১৯৭০ সালে। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পার করেছিল তারা, ১৯৮৬ আসরে। এবার তারা ছাড়িয়ে গেছে আগের সব সাফল্য। আরব ও আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দলটি।
* কোনো দলকে নকআউট পর্বে তোলা প্রথম আরব কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি। গত সেপ্টেম্বরে মরক্কোর দায়িত্ব নেন তিনি। তার কোচিংয়ে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে অপরাজিত আফ্রিকার দলটি।
* ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে খেলা ১৩ দলের একটি ফ্রান্স। এ নিয়ে বিশ্ব সেরার মঞ্চে ১৬ বার খেলছে দুইবার শিরোপা জেতা দলটি।
* ১৯৯৮ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম শিরোপাধারী দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে ফ্রান্স। ২০০২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দুই আসরে ফাইনালে খেলার হাতছানি ফরাসিদের সামনে।
* টানা দুবার বিশ্বকাপ জেতা দল ইতালি (১৯৩৪ ও ১৯৩৮) ও ব্রাজিল (১৯৫৮ ও ১৯৬২)। ২০১৮ সালে রাশিয়া আসরে শিরোপা জেতা ফ্রান্সের সামনেও এখন এই রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ।
* মরক্কোর জালে এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ একবারও বল পাঠাতে পারেনি। আসরে তারা একমাত্র গোল হজম করেছে গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে; আত্মঘাতী গোলটি করেন ডিফেন্ডার নায়েফ আগের্দ।