স্ত্রীর শখ ছিল কচ্ছপ আর টিয়া পাখি পুষবেন। বাড়িতে একসঙ্গে এই দুটি প্রাণী পোষার ইচ্ছে স্বামীর কাছে দীর্ঘদিন আবদার করছিলেন স্ত্রী। আনবেন কি আনবেন না, ভাবতে ভাবতেই দোকান থেকে কচ্ছপ ও টিয়া পাখি কিনে আনেন স্বামী। কিন্তু এর পেছনে যে অপরাধ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেননি স্বামী।
কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে অতি উৎসাহী স্ত্রীর কারণে। দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হওয়ায় আহ্লাদে আটখানা হয়ে কচ্ছপ আর টিয়া পাখির ছবি দিয়ে দিয়েছেন ফেসবুকে। যে ছবি নজরে পড়ে এক বন কর্মকর্তার। তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নেন ও অধিদপ্তরে জানান। এরপরই তাদের বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করেন বন অধিদপ্তরের বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের কর্মকর্তারা। শেষ পর্যন্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বণ্যপ্রাণী আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই পাখি ও কচ্ছপ বিক্রেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দা বাপি দত্তকে স্ত্রীর আবদার মেটাতে বাড়িতে টিয়া পাখি এবং কচ্ছপ এনে কারাগারে যেতে হলো। এ ঘটনায় এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। এরইমধ্যে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বাপি দত্তকে আদালতে তোলা হয়েছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে স্থানীয় এক দোকান থেকে একটি টিয়া পাখি ও দু’টি কচ্ছপ কিনে আনেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা বাপি দত্ত। স্ত্রীও খুশি, স্ত্রীর আবদার রাখতে পেরে তিনিও খুশি। কিন্তু বিপত্তি বাধে স্ত্রীর ফেসবুক পোস্টে। অনেক দিনের শখ পূরণ হওয়ার আনন্দ আর চেপে রাখতে পারেননি স্ত্রী মিতাদেবী। বাড়িতে পোষা টিয়া এবং কচ্ছপের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন তিনি।
মিতা দেবীর করা সেই ফেসবুক পোস্টই বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চোখে পড়ে। এর পরেই খোঁজ শুরু হয় মিতাদেবী এবং তার স্বামীর। শেষ পর্যন্ত ঠিকানা পেয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় টিয়া পাখি ও কচ্ছপ। পাশাপাশি যে দোকান থেকে ওই পাখি এবং কচ্ছপ কেনা হয়েছিল, সেই দোকানের মালিক কৌশিক ভৌমিককেও গ্রেপ্তার করেছে বন অধিদপ্তর।