চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনারা তা প্রতিরোধ করেন।
এ সময় সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। লাদাখের গালওয়ানের পর এবার অরুণাচলের তাওয়াংয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
গত শুক্রবার গভীর রাতে সীমান্তে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি মঙ্গলবার দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
তবে ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানকাণ্ডের মতো প্রাণহানি না ঘটলেও শুক্রবার রাতের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে।
তবে গালওয়ানের মতোই তাওয়াঙেও দ্বিপক্ষীয় সেনাস্তরের ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’ মেনে কোনো পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা ‘দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিরোধ’ করে।
সেই সময় সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। হাতাহাতি এবং লাঠিসোটা-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ছয় জওয়ান ‘সামান্য আহত’ হন বলে সেনাসূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়।
২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী চীনা সেনাদের ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। আমেরিকাসহ বিভিন্ন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে চীনা সেনার নিহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। যদিও তা প্রকাশ্যে শিকার করেনি বেইজিং।