মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নেমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে নাম লেখালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যদিও আজ তাকে ছাড়াই শুরুর একাদশ সাজিয়েছিলেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। পরে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে ৫১তম মিনিটে মাঠে নামেন রোনালদো।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড আগে থেকেই ছিল। এবার সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডেও নাম লেখালেন পর্তুগাল অধিনায়ক।
দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে ৫১তম মিনিটে বদলি নামেন রোনালদো। তাতে স্পর্শ করেন কুয়েতের ফরোয়ার্ড বাদের আল-মুতাওয়ার ১৯৬ ম্যাচের রেকর্ড।
এবারের বিশ্বকাপে রোনালদো রেকর্ড গড়েছেন আরেকটি; ঘানার বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানের জয়ে অভিযান শুরুর ম্যাচে একটি গোল করে গড়েন প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড।
রোনালদো বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপটা আপন রঙে রাঙাবেন। আর এর জন্য তিনি নিজেকে ভালোভাবে তৈরিও করে এসেছেন। কিন্তু ইংল্যান্ড থেকে কাতার আসার আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিয়ে এক বোমা ফাটানো সাক্ষাৎকার দিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন নিজেই।
এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডে পর্তুগাল কোচের এক সিদ্ধান্তে বিশ্ববাসী অবাক হয়ে যান। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বোকা বানিয়ে দিয়ে মাঠে নামানো হয় রামোসকে। সে থেকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও মরক্কোর বিপক্ষে দলের তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখে পর্তুগাল। এরমধ্যে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদোকে মাঠে নামান কোচ। কিন্তু গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও পারলেন না রোনালদো। মোট পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হয়েছে রোনালদোর। যেখানে ২২টি ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। আর পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে ১৯৬ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন ১১৮টি।
বিশ্বকাপে অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। হয়তো এবার বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারবেন এমন আশাই ছিল। কিন্তু নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে এসে চোখের জলে বিদায় নিতে হলো রোনালদোকে।