২০ বছর পর জানা গেল অভিষেক-কারিশমার বিয়ে ভাঙার কারণ

একসময় বলিউডের তুমুল চর্চার বিষয় ছিল অভিষেক বচ্চন ও কারিশমা কাপুরের প্রেম। ঐশ্বরিয়া নয়, কারিশমারই হওয়ার কথা ছিল বচ্চন পরিবারের বউ। বাগদানও হয়ে গিয়েছিল দুই তারকার। কিন্তু ছাদনাতলা পর্যন্ত যাওয়ার আগেই অভিষেকের সঙ্গে বিয়ে ভাঙেন কারিশমা।

সেই ঘটনার দুই দশক পেরিয়ে গেছে। কিন্তু কী কারণে ভেঙেছিল অভিষেক-কারিশমার বিয়ে, তা বহু বছর ধরে ছিল অজানা। অবশেষে ২০ বছর পর হঠাৎই জানা গেল সেই কারণ।

সালটা ২০০০। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ততক্ষণে কানাঘোষা শুরু হয়ে গেছে অভিষেক-কারিশমার প্রেমের খবর। এই সম্পর্কের শুরুটা হয় সিনেমার সেটে। অভিষেক-কারিশমা জুটি হয়ে কাজ করেছিলেন একটি মাত্র ছবিতে। নাম ‘হাঁ ম্যায়নে ভি প্যায়ার কিয়া হ্যায়’।

এই ছবির সেটে শুরু এই দুই তারকার প্রেমকাহিনি। ২০০২ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। তার আগে ভাঙন ধরে সম্পর্কে। সেই সময় সদ্য বলিউডে পা দিয়েছেন অভিষেক। কারিশমা তত দিনে নামকরা তারকা। বরং অভিষেককে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বেশ সমালোচনা শুনতে হয়েছিল।

কিন্তু সে সব আটকায়নি দুজনকে। কাজ করতে করতেই প্রেম পড়ে যান দুজনে। তড়িঘড়ি আংটিবদলও সেরে ফেলেন। বলিউডের দুই প্রভাবশালী পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হবে বলেই আশা করেছিলেন সবাই। জয়া বচ্চন সে বছর অভিষেকের জন্মদিনে সাংবাদিকদের সামনে কারিশমাকে নিজের হবু পুত্রবধূ বলে স্বীকারও করেন।

কিন্তু তারপর দিন কয়েকের মধ্যে শোনা যায়, সম্পর্ক ভেঙেছে অভিষেক-কারিশমার। কেন সেই কারণই জানালেন দুই তারকার একমাত্র ছবির পরিচালক সুনীল দর্শন।

পরিচালকের কথায়, ‘কারিশমা ও অভিষেকের সম্পর্ক চোখের সামনে গড়ে উঠতে দেখেছি। আমরা ওদের আংটিবদল অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলাম। কিন্তু একটা জিনিস সব সময় মনে হতো, ওরা একে অপরের জন্য নয়। ছোটখাটো বিষয়ে দুজনের মধ্যে মতবিরোধ লেগেই থাকত।’

সুনীল আরও বলেন, ‘কারিশমা-কারিনা দুজনেই খুব ভালো। অভিষেকও মিষ্টি মানুষ। কিন্তু এক অপরের জন্য ঠিক ছিলেন না, নিয়তির অন্য ইচ্ছা ছিল।’

২০০২ সালে ‘হাঁ ম্যায়নে ভি প্যায়ার কিয়া হ্যায়’ ছবি মুক্তির এক বছর পর দিল্লির শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন কারিশমা। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। যদিও বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় স্বামী সঞ্জয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে কারিশমার।

অন্যদিকে ২০০৭ সালে ঐশ্বরিয়াকে বিয়ের পর ১৫ বছর ধরে সুখে সংসার করছেন অভিষেক বচ্চন। তাদের এক মেয়ে, আরাধ্যা।