দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম মুফতি রফি উসমানি ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
শুক্রবার মুফতি রফি উসমানি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারই ছোট ভাই পাকিস্তানের আরেক প্রখ্যাত আলেম মুফতি তাকি উসমানি।
টুইট বার্তায় মুফতি তাকি উসমানি জানান, আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন। আমার বড় ভাই এবং ইসলামী বিশ্বের একজন মহান ব্যক্তিত্ব, গ্র্যান্ড মুফতি হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ রফি উসমানী (রহ.) ইন্তেকাল করেছেন। রোববার (২০ নভেম্বর) দারুল উলুম করাচি প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
রফি উসমানির মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট জানান, ‘ইসলামী শিক্ষার প্রসারে মুফতি রফি উসমানির অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। ধর্মীয় ও একাডেমিক বিষয়ে তার মূল্যবান সেবা রয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, জামিয়া দারুল উলুম করাচির প্রধান ছিলেন রফি উসমানি। তিনি পাকিস্তানের প্রধান মুফতি খ্যাত মুফতি মুহাম্মাদ শফি রহ.-এর ছেলে।
তার ছোট ভাই মুফতি তাকি উসমানি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরিয়ত আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক।
মুফতি রফি উসমানি হিন্দুস্থানের দেওবন্দ অঞ্চলে ১৯৩৬ সালের ২১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন একজন ধর্মীয় পণ্ডিত, আইনবিদ এবং লেখক। বাবা মুফতি শফী রহ.-এর হাতেই তার লেখাপড়ার হাতে খড়ি হয়। তিনি দারুল উলূম দেওবন্দ, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় এবং দারুল উলুম করাচির সাবেক ছাত্র ছিলেন।
মুফতি রফি উসমানি আহকাম-ই-জাকাত, আল-তালিকাত আল-নাফিয়াহ আলা ফাতহ আল মুলহিম, ইসলাম মে আওরাত কি হুকমরানি এবং নাওয়াদির আল-ফিকহসহ বহু বই লিখেছেন।
ফিকাহ, হাদিস এবং তাফসিরে তার জ্ঞানের জন্য স্বীকৃত মুফতি রফি উসমানি উর্দুতে প্রচুর বইয়ের পাশাপাশি আরবি ভাষায়ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিস আল-আরাবিয়ার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। তিনি এনইডি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।