এক পরিচালক ঋণখেলাপি হওয়ায় আপাতত পুঁজিবাজারের ‘মার্কেট মেকারে’র নিবন্ধন পাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড। তাদের নিবন্ধন প্রদানের কার্যক্রম আটকে দিয়েছে বিএসইসি। এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) চিঠি পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ’কিছু ত্রুটির কারণে মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের মার্কেট মেকার-এর নিবন্ধন সনদের বিষয়টি স্থগিত রয়েছে।’
মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পুঁজিবাজারে কারসাজির নায়ক আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান।
মোনার্ক হোল্ডিংসের পরিচালকদের ব্যাপারে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) ক্লিয়ারেন্স পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি দেয় বিএসইসি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোনার্ক হোল্ডিংসের পরিচালক জাভেদ এ মতিন ঋণখেলাপি।
এই প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে ‘মার্কেট মেকার’ হিসেবে কাজ করতে ডিএসইর কাছে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সক্ষমতা যাচাই করে নিবন্ধন সনদ দিতে বিএসইসির কাছে সুপারিশও করে ডিএসই।
কিন্তু মোনার্ক হোল্ডিংসের পরিচালক জাভেদ এ মতিন ঋণখেলাপি হওয়ায় মার্কেট মেকারের সনদ প্রদানের কাজ আপাতত আটকে আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহম্মদ রেজাউল করিম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিএসইসির আরেকটি সূত্রে জানা যায়, মোনার্ক হোল্ডিংসের পরিচালকদের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) ক্লিয়ারেন্স পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি দেয় বিএসইসি। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে পাঠায়। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোনার্ক হোল্ডিংসের পরিচালক জাভেদ এ মতিন ঋণখেলাপি।
এরপরই মূলত মোনার্ক হোল্ডিংসকে মার্কেট মেকার হিসেবে নিবন্ধন সনদ দেওয়ার কাজ আটকে রাখে বিএসইসি।
উল্লেখ্য, মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর। কোম্পানিটির পরিচালক হিসেবে আছেন জাভেদ এ মতিন ও আবুল কালাম মাতবর (আবুল খায়ের হিরুর বাবা)।