লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গৃহবধূকে বিয়ে করতে না পেরে বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে খোরশেদ আলম নামের এক বখাটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৭ নভেম্বর) আগুন দিয়ে তিনজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে গৃহবধূ মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে রায়পুর থানার ওসি নির্দেশ দেন বিচারক।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উত্তর চরবংশী ইউপির কুচিয়ামারা গ্রামের।
মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূ মরিয়ম (২৫) রায়পুরের কুচিয়ামারা গ্রামের বাসিন্দা মুন্সীগঞ্জ শহরের অটোচালক আবদুল খালেকের স্ত্রী। অভিযুক্ত খোরশেদ আলম (৩০) সদর উপজেলার রসুলগঞ্জের চরমণ্ডল গ্রামের কালা গাজিবাড়ীর অলি আহাম্মদ আকবরের ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, দুই মাস আগে গৃহবধূ মরিয়ম তার ভাই রায়হান ঢাকায় খাবার হোটেলে যান। সেখানে খোরশেদের সঙ্গে পরিচয় এবং এক মাস আগে খোরশেদ মরিয়মের বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। একপর্যায়ে মরিয়মকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত ও সবশেষে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় খোরশেদ। এ ঘটনা মরিয়ম তার স্বামী এবং খোরশেদের স্বজনদের জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খোরশেদ বসতঘরে আগুন দেওয়াসহ পরিবারের সবাইকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয়।
মঙ্গলবার রাতে মরিয়ম তার দুই শিশুসন্তান নিয়ে রায়পুরের কুচিয়ামারা গ্রামে স্বামীর ঘরে ঘুমিয়ে পড়লে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় খোরশেদ। এতে বুঝতে পেরে সবাই ঘর থেকে দ্রুত সরে গিয়ে মৃত্যু থেকে রক্ষা পায়। এ সময় স্থানীয় মেম্বারসহ গ্রামবাসী এগিয়ে এসে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে মরিয়মের বসতঘরসহ সব মালামাল পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত খোরশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি তার ফোন রিসিভ করেনি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান, আদালতে দায়ের করা বসতঘর পোড়ানোর মামলার কপি এখনো হাতে পাইনি। থানায় আসলে সহসাই মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।