আটা-ময়দা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে চালের পর সবচেয়ে বেশি চাহিদা আটা-ময়দার। বছরের ব্যবধানে আটা ময়দার দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের প্রভাব পরেছে দামে। চাহিদার বেশির ভাগ আটা-ময়দা আমদানি করতে হয়।
জানা গেছে, এক কেজি খোলা আটার দাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা। খোলা আটার কেজি মোটা চালের চেয়ে ১০ থেকে ৫ টাকা বেশি। খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মোড়কজাত (প্যাকেট) আটার দামও বাড়ছে। দুই কেজির দাম বেড়ে হয়েছে ১২৬-১৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১১০-১১৫ টাকা।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে গমের দাম বৃদ্ধি পায়। পরে কৃষ্ণসাগর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে নির্বিঘ্নে গম সরবরাহে ইউক্রেন-রাশিয়া চুক্তি পর দাম কমতে শুরু করে। সম্প্রতি রাশিয়া এ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর বাড়ছে গমের দাম।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেট জাত আটা-ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। খোলা আটার দরও ঊর্ধ্বমুখী। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের-টিসিবির পরিসংখ্যান বলছে, বছরের ব্যবধানে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে আটা ময়দার দর।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের তুলনায় গত ৬ মাসে দেশে ১৪ দশমিক ১১ লাখ টন গম কম আমদানি হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, ডলারের দাম উঠা নামার কারণে অনেক ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খোলা কমিয়ে দিয়েছেন।
গেল ২০ বছরে বাংলাদেশে গমের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। চাহিদার ৮০ শতাংশ গম আমদানি করতে হয়। এর অর্ধেক আসে ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে।